Disaster

Building Collapsed: ধ্বংসস্তূপে হাসি-কান্না, বৃষ্টিতে ভাঙা বাড়িতে সন্তান হারিয়ে একই দিনে সন্তান পেলেন মা

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বুধবার সকালে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন অনেকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:২১

—প্রতীকী ছবি

মৃত্যুর আর্তনাদ। সদ্যোজাতের কান্না। একটা দুঃখের। আর একটা সুখের। বুধবার এমনই এক হাসি-কান্নায় মেশানো মুহূর্তের জন্ম হল কলকাতার আহিরিটোলায়।

বুধবার সকালে আহিরিটোলায় বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয় দু’জনের। এক আড়াই বছরের শিশু ও অন্য জন তাঁরই দিদিমা। আর দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েও মৃত শিশুর মা জন্ম দিলেন আর এক সন্তানের। দুর্ঘটনার পরে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি জন্ম দিলেন কন্যা সন্তানের। বড় মেয়ের মৃত্যুর দিনেই কোলে এল আর এক মেয়ে। মা এবং সদ্যোজাত স্থিতিশীল রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সদ্যোজাতকে নার্শারিতে রাখা হয়েছে এবং মা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এইচডিইউ ওয়ার্ডে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে আহিরিটোলা স্ট্রিটের বুধবার সকালে ওই দোতলা বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন অনেকে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা এসে আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধার করেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আটকে পড়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা গঙ্গা ঘোড়ুইও। তাঁকে চিকিৎসার জন্য আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই দুপুর নাগাদ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

আহিরিটোলায় ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে আটকে প়ড়ে ছিলেন গঙ্গার মা চম্পা গড়াই, মেয়ে শ্রীজিতা ঘোড়ুই এবং স্বামী সুশান্ত ঘোড়ুই-ও। উদ্ধারকারী দল তাদের উদ্ধার করে, সুশান্ত এবং শ্রীজিতাকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শ্রীজিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করে সুশান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চম্পাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিন আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
Advertisement
আরও পড়ুন