Awas Yojana

আবাসে কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, খুঁজতে গিয়েই কি কেন্দ্রের ফাঁদে পা ফেলল রাজ্য সরকার?

কেন্দ্রীয় নিয়মের ‘কড়াকড়ি’ মেনে চলতে গিয়ে আবাস প্লাসে পঞ্চায়েত, ব্লক, মহকুমা, জেলা প্রশাসন, সর্বোপরি প্রকল্পের পোর্টালে একাধিক ছাঁকনি রেখে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০০
কেন্দ্রীয় শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানতে গিয়ে রাজ্য কি উভয় সঙ্কটে? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

কেন্দ্রীয় শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানতে গিয়ে রাজ্য কি উভয় সঙ্কটে? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

প্রধানমন্ত্রী আবাস (প্লাস) যোজনা নিয়ে কার্যত বিভ্রান্ত দু’পক্ষই! গ্রামবাসীদের একাংশ ভাবছেন, এই প্রকল্পে সরকার পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু কী ভাবে, কোন কোন শর্ত পূরণ করতে হবে, তা অনেকেরই অজানা। অন্য দিকে, সমীক্ষক দলে থাকা যে সব আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী গ্রামে গ্রামে ঘুরে তথ্য যাচাই করেছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই স্পষ্ট ছিল না, গৃহহীন গ্রামবাসীরা কী প্রক্রিয়ায় বাড়ি পেতে পারেন!

২০১১ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় গ্রামের যে সব গরিব মানুষের নাম ছিল, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, বহু গরিব গৃহহীন মানুষ রয়েছেন, যাঁদের নাম ২০১১ সালের তালিকায় ছিল না। ফলে তাঁরা বাড়ি তৈরির জন্য টাকা পাননি। তাঁদের জন্যই ২০১৮ সালের শেষের দিকে কেন্দ্র আবার একটি সমীক্ষা করে। সেই তালিকার ভিত্তিতেই গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির জন্য ‘আবাস প্লাস’ (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পরবর্তী সংযোজন) প্রকল্পটি চালু করা হয়। এই প্রকল্পের কাজে বেনিয়মের অভিযোগেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। সম্প্রতি পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার দিল্লি গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি শর্তে রাজি হওয়ার পর ‘ত্রুটিমুক্ত’ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয় রাজ্য।

Advertisement

কেন্দ্রীয় নিয়মের ‘কড়াকড়ি’ মেনে চলতে গিয়ে আবাস প্লাসে পঞ্চায়েত, ব্লক, মহকুমা, জেলা প্রশাসন, সর্বোপরি প্রকল্পের পোর্টালে একাধিক ছাঁকনি রেখে দেওয়া হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেন, ৪ তারিখ থেকেই তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করে দিতে হবে। জেলাশাসক এবং আবাস প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, যোগ্যরা যেমন আবাস প্রকল্প থেকে বাদ যাবেন না, তেমনই অযোগ্যরাও যাতে ওই প্রকল্পের সুবিধা না পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।

আবাস প্লাসে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে মালদহের মোল্লাবাড়ি গ্রামে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

আবাস প্লাসে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে মালদহের মোল্লাবাড়ি গ্রামে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

সেই মতোই একাধিক স্তরে যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। কাজ দ্রুত করতে পঞ্চায়েত এলাকার আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে শুরু করে প্রাণী-বন্ধু, কেপিএস, পঞ্চায়েত আধিকারিক, এমনকি, ভিলেজ পুলিশদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ আসে নবান্ন থেকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, সময়ের অভাবে অনেক জায়গায় তা সম্ভব হয়নি। যার জেরে সমীক্ষাকর্মীদের একাংশের গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাই তৈরি হয়নি। তাঁদের শুধুই উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে ফর্ম ভর্তি করতে বলা হয়েছে। কারও নাম রাখা বা বাদ দেওয়ার ক্ষমতা যে তাঁদের নেই, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও গ্রামবাসীরা মানতে চান না। সমীক্ষার প্রাথমিক কাজ আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের করতে দেখে অনেকেই ভেবেছেন, তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই উপভোক্তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে কি না, তা ঠিক হবে। দু’পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে নিচুস্তরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কাজে বাধা আসছে। নির্ধারিত সময়ের কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

কিন্তু নিয়ম হল, চার বছর আগে পঞ্চায়েতগুলি উপভোক্তাদের যে তালিকা তৈরি করেছিল, সেই তালিকা ধরে প্রথমে সমীক্ষা চালাবেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ওই প্রাথমিক সমীক্ষার ভিত্তিতে উঠে আসা তালিকা ধরে আবার তা খতিয়ে দেখবেন গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নিযুক্ত ‘ট্যাগ্‌ড অফিসার’ পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। তৃতীয় স্তরে সংশ্লিষ্ট ব্লক ভূমি আধিকারিক, থানার ওসি-আইসিরা তালিকা ধরে বিক্ষিপ্ত ভাবে খতিয়ে দেখবেন। পরে তালিকা ধরে মোট উপভোক্তার ১০ শতাংশের যোগ্যতা যাচাই করবেন বিডিও-রা। তিন শতাংশ করে উপভোক্তার উপযুক্ততা যাচাই করবেন জেলাশাসক এবং এসডিও-রা। এর পরেই খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। সেই তালিকা গ্রামসভায় নিয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের জানানো হবে। সেখানে কেউ অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত হলে তাঁর নাম বাদ যাবে। কিন্তু নতুন করে কোনও নাম পঞ্চায়েত সংযোজন করতে পারবে না। এর পর সংশোধিত তালিকা পাঠানো হবে জেলা প্রশাসনের কাছে। জেলাস্তরের অ্যাপেলেট কমিটি সেই তালিকায় অনুমোদন দিলে তা কেন্দ্রের আবাস ডেটাবেসে (তথ্যভান্ডার) আপলোড করা হবে। সেখানেও আর এক দফা ঝাড়াই-বাছাই হবে। কেন্দ্রীয় বিধির বাইরে থাকা নাম স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া বাদ দেবে কেন্দ্রের সফ্‌টঅয়্যার। তার পরেই প্রকল্পের টাকা পাবেন উপভোক্তারা।

এই যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে সব জেলা প্রশাসনকে নবান্ন নির্দেশ দেয়, শুধু যাচাই পর্ব নয়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ির অনুমোদনও দিয়ে দিতে হবে উপভোক্তাদের। পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, ‘‘আবাস প্লাসের ত্রিস্তরীয় যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। অর্থাৎ, কেন্দ্রের ডেটাবেসে উপভোক্তাদের তথ্য আপলোডের কাজ চলছে।’’

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কি কাজ শেষ হবে? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্ধারিত ডেডলাইন মেনেই কাজ চলছে। দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ তালিকা তৈরি করতে পঞ্চায়েত দফতর বদ্ধপরিকর এবং সেটা সময়ের মধ্যেই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেব। তার পর থেকেই ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আসা শুরু হবে।’’

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জব কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই, রেশন কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্রের প্রতিলিপি এবং দু’টি পাসপোর্ট সাইজ় ছবি। এই নথি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

কী ভাবে প্রকল্পের টাকা পাবেন উপভোক্তারা? নদিয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য ৬০:৪০ অনুপাতে খরচ করে। ন্যূনতম একটি ঘর ও রান্নাঘর তৈরির জন্য যা খরচ লাগে, সেই পরিমাণ টাকাই দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে তিন ধাপে মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ভিত নির্মাণের সময় ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে তার ছবি পোর্টালে নথিভুক্ত করার পরেই লিন্টন পর্যন্ত নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দফার ৫০ হাজার টাকা আসবে। বাকি ১০ হাজার টাকা মিলবে বাড়ি শেষ হওয়ার পর। এ ছাড়াও প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের বাড়ি নির্মাণের তদারকির জন্য গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের আওতায় অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে ৯৪ দিনের মজুরি দেওয়া হয়। যার মোট অঙ্ক প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসলে কেন্দ্রের বলে দেওয়া পথেই হাঁটতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে। অনেকেই ভাবছেন, শুধু কাঁচা বাড়ি থাকলেই সরকার ঘর দেবে। কিন্তু তা নয়। সব মিলিয়ে উপভোক্তার পরিবারের ১৫-১৭ দফা শর্ত যাচাই করে নির্দিষ্ট ‘চেকলিস্টে’ হ্যাঁ বা না লিখে তা ব্লক স্তরে জমা করেছেন সরকারি কর্মীরা। পরিবারে দুই বা চার চাকার গাড়ি আছে কি না, তারও খোঁজ নিয়ে নির্দিষ্ট ঘরে তাঁরা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ লিখেছেন। এমনকি, বাড়িতে কৃষিকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার আছে কি না, তা-ও দেখা হয়েছে। উপভোক্তার পরিবারে ফ্রিজ বা ল্যান্ডলাইন ফোন সংযোগ থাকলে, তারও খোঁজ নিয়ে লেখা হয়েছে নির্দিষ্ট খোপে।

আবাস যোজনার তথ্যযাচাইয়ের কাজে নজর দেওয়া হয়েছে কৃষিজমির বিষয়টিকেও। যাচাইয়ের কাজে নিযুক্ত কর্মীরা খোঁজ নিয়েছেন, উপভোক্তার সেচসেবিত কৃষিজমির পরিমাণ আড়াই একর বা তার বেশি কি না। সেচের কাজে ব্যবহৃত কোনও সরঞ্জাম আছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সরকারি কর্মী বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের এই ১৫-১৭ দফা শর্তে কারণেই অনেকে অযোগ্য হয়ে যাচ্ছেন। ভূরি ভূরি নাম বাদ যাচ্ছে তালিকা থেকে।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বাংলায় ৩,১৭৯টি গ্রামে কমবেশি ৪৬ লক্ষ উপভোক্তা ছিলেন আবাস (প্লাস)-এর আওতায়। প্রকল্পের নাম বদল, ত্রুটিপূর্ণ উপভোক্তা তালিকা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে পুনরায় এই প্রকল্পের বরাদ্দ পাচ্ছে রাজ্য। অন্যতম প্রধান শর্ত, তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অযোগ্যদের। প্রচুর নাম বাদও গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জেলার কর্তারা শীর্ষমহলকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিধি পুরোপুরি মানতে গেলে জেলা পিছু গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ উপভোক্তার নাম বাদ যেতে পারে। কোথাও সামান্য কম হলেও তা ২০ শতাংশের নীচে নামবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার দাবি, কেন্দ্রীয় শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানতে গিয়ে রাজ্যও উভয় সঙ্কটে পড়েছে। প্রচুর নাম বাদ পড়লে গ্রামবাংলার একটি বড় অংশের কাছে রাজ্য প্রশাসনের ‘অপ্রিয়’ হয়ে ওঠার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের বাক্সে উপভোক্তাদের সেই ক্ষোভের ছাপ পড়লেও পড়তে পারে। আবার শর্ত না-মানলে রাজ্যকে কেন্দ্রের রোষে পড়তে হতে পারে। ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে বরাদ্দ অর্থের সরবরাহ। তাতে বিড়ম্বনা আরও বাড়বে।

প্রশাসনের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, রাজ্য কার্যত কেন্দ্রের ‘ফাঁদে’ পা ফেলেছে। প্রশাসনিক ভাবে তো ‘চাপে’ রয়েছেই। রাজনৈতিক ভাবেও রাজ্যকে ‘প্যাঁচে’ ফেলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ফলে আগামী দিনে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কী ভাবে এর মোকাবিলা করে, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আধিকারিকদের ওই অংশ। (ক্রমশ)

(লেখা: সৌরভ নন্দী। তথ্য সংকলন: পার্থপ্রতিম দাস, রকি চৌধুরী, জয়শ্রী সিংহ, লিপি সিংহ, মীনাক্ষী চক্রবর্তী, প্রণয় ঘোষ, সাথী চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ সেন, বিদিশা দত্ত, পায়েল ঘোষ, সুমন মণ্ডল, মৌসুমী খাঁড়া, তরুণিমা মণ্ডল, সমীরণ পাণ্ডে, শিখা মুখোপাধ্যায়, সৈকত ঘোষ এবং অমিতা দত্ত।)

আরও পড়ুন
Advertisement