গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
চাকরি হারিয়ে শিক্ষকেরা খোলা আকাশের নীচে আন্দোলন করছেন। এ অবস্থায় বুধবার বিধানসভায় যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, তা স্থগিত রাখা বা দিন বদলানোর দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার সচিব সৌমেন্দ্রনাথ দাসকে চিঠি লিখলেন তিনি।
বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলে বুধবার ওয়েস্ট বেঙ্গল লেজিসলেচার স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানে মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন ও বাবুল সুপ্রিয়, অভিনেত্রী তথা বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তন শিল্পী তথা রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি এবং উত্তরপাড়ার অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের থাকার কথা। রিক্রিয়েশন ক্লাবের তরফে বিরোধী দলনেতার দফতরেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই আমন্ত্রণের সূত্র ধরেই বিধানসভার সচিবকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, চাকরিহারা শিক্ষকরা তাঁদের দাবিকে সামনে রেখে খোলা আকাশের নীচে আন্দোলন করছেন। তাঁদের আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে হয় এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হোক, নয়তো অনুষ্ঠানের দিন বদল করা হোক। শুভেন্দু জানিয়ে দেন, যদি এই অনুষ্ঠান বুধবার আয়োজিত হয়, তা হলে বিরোধী দল বিজেপির কোনও বিধায়ক এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং উপ-মুখ্য সচেতক দেবাশিস কুমারও হাজির থাকবেন।
চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং বিধানসভা অধ্যক্ষের ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে বিধানসভা সচিবালয় ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার রিক্রিয়েশন ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও বাস্তবতা-বিবর্জিত, বিশেষ করে যখন রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষক একটি গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।’’
বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘যখন এই ‘অকলঙ্কিত’ শিক্ষকরা একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার শিকার হয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন, প্রখর গরমে আন্দোলন করছেন, অনশন করছেন এবং তাঁদের পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছেন, সেই সময় সরকার একটি উৎসবধর্মী অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া যে কতটা নির্দয় এবং রাজনৈতিকভাবে অপরিণামদর্শী তা প্রকাশ পায়।’’ বিরোধী দলনেতার এই চিঠি প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকারের কোনও মতামত এখনও জানা যায়নি।