কৃষি ভবন থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি খারিজ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব এক্সে লেখেন, ‘‘আপনি এত বড় মিথ্যে বলছেন যে, আপনার ডুবে মরা উচিত। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাংসদেরা াপনার দফতরে রয়েছে। আপনি দেখা করেননি। কিছু লজ্জা করুন। বাংলার মানুষ দেখছে আপনার ছলনা। ২০২৪ সালে আপনারা নিশ্চিত ভাবে শূন্যে পৌঁছবেন। সাংসদ মহুয়া মৈত্রও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিথ্যে বলছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পরেও দেখা না করেই কৃষি ভবনে নিজের দফতর থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। যদিও জ্যোতি সেই অভিযোগ মানেননি। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আজ আড়াই ঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। তৃণমূল সাংসদদের জন্য অপেক্ষা করে সাড়ে ৮টায় দফতর ছেড়েছি। আমি জানতাম, তৃণমূলের সাংসদ এবং মন্ত্রীরা সন্ধ্যা ৬টায় দেখার করার জন্য সময় নিয়েছিলেন।’’
অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের কৃষি ভবন থেকে আটক করে মুখার্জি নগর থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। থানার ভিতর বসে স্লোগান দিচ্ছেন নেতারা। বাইরে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল নেতা, কর্মীদের।
দিল্লিতে কৃষি ভবন থেকে আটক করা হয়েছে অভিষেক-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে বাংলার মানুষের দাবি তুলে ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আটক করে নেতাদের মুখার্জি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলির রাস্তায় বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি ভবন থেকে নেতা-নেত্রীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুখার্জি নগর থানায়। খবর পেয়ে সেখানে যাচ্ছেন অন্য নেতা, মন্ত্রীরা।
প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে অভিষেককেও। অভিযোগ, তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লির রাস্তায় মিছিল শুরু করেছে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, 'নরেন্দ্র মোদী হায় হায়, অমিত শাহ হায় হায়।'
প্রিজন ভ্যানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক-সহ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু, বীরবাহা, ডেরেক ও'ব্রায়েন, অপরূপা পোদ্দার, সামিরুল ইসালাম, প্রকাশ চিক বরাইক, আবিররঞ্জন বিশ্বাসদের আটক করে তোলা হল দিল্লি পুলিশের প্রিজন ভ্যানে।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনও।
মহুয়া মৈত্রকে কৃষি ভবন থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ছবি: টুইটার।
দেখা যায় রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চ্যাংদোলা করে বাইরে বার করছে পুলিশ। কৃষিভবনের ভিতরে তখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
টেনেহিঁচড়ে তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রীদের তুলে দিতে শুরু করে পুলিশ। অবস্থানরত অভিষেক, দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদাদের তুলে দিতে তৎপর দিল্লি পুলিশ। অভিষেককে দেখা যায় পাশে বসে থাকা দোলার হাতটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন। অন্য পাশে তখন অভিষেকের হাত জড়িয়ে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করছেন বীরবাহা।
রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। এমনটা আশঙ্কা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।