CV Anand Bose

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো শীঘ্র স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্বাস রাজ্যপাল বোসের

মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর আগে রাঙামাটি এলাকায় রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। যদিও, পুলিশি তৎপরতায় বিক্ষোভ ঘিরে তেমন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৩
CV Anand Bose

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —নিজস্ব চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শীঘ্রই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমন আশ্বাসই দিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস।

Advertisement

রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতরের সংঘাত নতুন নয়। সার্বিক ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজভবনের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়েও সরব শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর আগে রাঙামাটি এলাকায় রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। যদিও, জেলা পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতায় বিক্ষোভ ঘিরে তেমন কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ ও একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগের বিরোধিতা করা হয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের তরফে। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হওয়ার সময়েও কালো পতাকা দেখানো হয়। যদিও সেই বিক্ষোভে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল না।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং বোসের মধ্যে সংঘাতের ফলে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ২১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দফতর আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলনেও ডাক পাননি বোস নিযুক্ত উপাচার্যেরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্টই তাঁদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। ব্রাত্যের বক্তব্য ছিল, “ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের আচার্য তথা রাজ্যপাল যে ভাবে নিয়োগ করেছেন, সেটা বেআইনি। যাঁরা আমাদের বৈধ প্রতিনিধি আছেন, আমরা তো তাঁদেরই ডাকব। আমার মনে হয় না অনুপ্রবেশকারীদের ডাকার কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে।” সেই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপাল মঙ্গলবার জানালেন, শীঘ্রই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement