ফাইল চিত্র।
চিটফান্ড-কাণ্ডে বছরখানেক আগে তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় সরকার পরিবারের সদস্যেরা মুখে কুলুপ আঁটলেও আনন্দাবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানা কথা’য় সে দিনের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন জাদুকর পিসি সরকার জুনিয়র। তিনি বললেন, ‘‘আমার বাড়িতে সিবিআই-কে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম। আমি বিজেপি সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমার বাড়িতে সিবিআই এসেছে দেখে ভীষণই খুশি হয়েছিলাম।’’
সারদা, রোজভ্যালি-সহ বিভিন্ন চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে নেমে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি মুকুন্দপুরের সরকার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছিল, টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে পিসি সরকার জুনিয়রের ঠিক কী চুক্তি হয়েছিল, তা নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়ে শনিবারের সান্ধ্য-আড্ডায় পিসি সরকার জুনিয়র বলেন, ‘‘সিবিআই-কে আমার বাড়িতে ওয়েলকাম করেছি আমি। ওঁরা (তদন্তকারীরা) আসার পর জানতে চাইলাম, কেন এসেছেন? ওঁরা বললেন, অর্ডার দিয়েছে, তাই এসেছি। আমি বললাম, বেশ, যা করার করুন। ওঁরা সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে কী সব খুঁজলেন। তার পর কিছু না পেয়ে আমাকে এসে বললেন, আমরা লজ্জিত। আমি অবাক হয়ে বললাম, লজ্জিত কেন? আপনারা তো ডিউটি করছেন। আপনারা সবাইকেই সমান ভাবছেন দেখে আমি খুবই খুশি।’’
নিজে ঘোষিত বিজেপি সমর্থক। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে বারাসত থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। তার পরেও বাড়িতে সিবিআই হানা প্রথমে তাঁকে অবাক করলেও পরে এর অর্থ বুঝতে অসুবিধে হয়নি বলেই জানালেন সরকার জুনিয়র। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এক জন বিজেপি সমর্থক। তার পরেও আমার বাড়়িতে সিবিআই এসেছিল। (হাসতে হাসতে) তার মানে সিবিআই-এর সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। বিচার মানে বিচার।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘যে স্পনসরের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, তারা অন্যায় কাজ করেছে জেনে আমার বাড়িতেও সিবিআই পাঠানো হয়েছে। এটা আমি বুঝেছিলাম। তাই, সব কাগজপত্র ওঁদের (তদন্তকারীদের) হাতে তুলে দিয়েছিলাম। সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছিলাম। আমি এ-ও বলেছিলাম, যদি প্রয়োজন হয়, আবার আসবেন।’’ শেষে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা তদন্ত করলেই তো বোঝা যাবে যে আমি নিষ্কলঙ্ক।’’