মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব সর্বশক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপানোর সময়েই দেশের অকংগ্রেসি বিভিন্ন বিরোধী দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরে সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, শিবসেনা, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আপ-এর মতো দলগুলির নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। চব্বিশের লোকসভা ভোটে তিনিই বিরোধী দলের নেতৃত্বের রাশ হাতে রাখবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। এ বার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারির ঘটনা নিয়েও ফের মমতার পাশে দাঁড়ালেন বিরোধীরা। বিজেপি ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাজের নিন্দা করেছে বাম, কংগ্রেসের মতো দলগুলিও।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গত কালই রাজ্যপালের আচরণের নিন্দা করা হয়। আরজেডি নেতা মনোজ কুমার ঝা আজ বলেন, “জগদীপ ধনখড়ই পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত বিরোধী নেতা! মনে হয়, দিল্লির শাসকেরা পশ্চিমবঙ্গের বিপুল পরাজয় এখনও হজম করে উঠতে পারেননি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গত কাল সিবিআই যা করেছে, তাতে অবাক হচ্ছি না। কয়েক বছর ধরে মোদী সরকার যা করছে, তাতে এটাই প্রত্যাশিত ছিল।” সমাজবাদী পর্টির নেতা কিরণময় নন্দ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিরাট ভাবে হেরে যাওয়ার পরে বিজেপি চক্রান্ত করছে এবং এটা চালিয়ে যাবে তারা। গত কালের ঘটনা থেকেই তা প্রমাণিত।’’
একই সুর শিবসেনারও। দলের নেতা সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, “মোদী সরকার যে ভাবে সিবিআই-কে কাজে লাগাচ্ছে সেটা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক চাল। আর রাজ্যপাল যে ভাবে রাজনৈতিক আগ্রহ দেখাচ্ছেন, দেশবাসী তা ভাল ভাবে মেনে নেবে না’’ তাঁর কথায়, “আসল অপরাধী মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের নামও তো নারদা মামলার তালিকায়। সিবিআই কি তাঁদের ডেকেছে? তবে এ সবের ফলে প্রধানমন্ত্রীর তৈরি করা ভাবমূর্তি চুরমার হয়ে যাচ্ছে।’’ সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, “আমাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখন যা ঘটছে, তা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা টিঁকিয়ে রাখার প্রশ্ন। বিজেপি কিছুই মানছে না। এই গ্রেফতারির সময় এবং প্রেক্ষাপট বিচার করে এটাই মনে হচ্ছে, বিজেপির অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।’’