অগ্নিমিত্রা পাল। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সময় দাখিল করা হলফনামায় সম্পত্তির কথা গোপন করার অভিযোগ অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার শ্যামল রায়। প্রসঙ্গত, ওই কেন্দ্রেই ২০২৪ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর আরও অভিযোগ, হলফনামায় নিজের স্বামীর আয়ের হিসাবও উল্লেখ করেননি অগ্নিমিত্রা। এই বিষয়ে বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক জানান, ওই সম্পত্তি তাঁর বাবা-মায়ের। সেটির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তিনি রাজ্যের শাসকদলের দিকেও আঙুল তুলেছেন।
গত মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন শ্যামল। দাবি করেন, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী হিসাবে যে হলফনামা জমা করেছিলেন অগ্নিমিত্রা, তাতে নিজের কিছু সম্পত্তির কথা গোপন করেছিলেন। তাঁর এই পদক্ষেপ ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৩এ ধারার পরিপন্থী। শ্যামলের দাবি, কলকাতার বালিগঞ্জে ১৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে অগ্নিমিত্রার। তার ঠিকানা ৫০বি হাজরা রোড। কলকাতা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে সেই ফ্ল্যাট। ওই একই ঠিকানায় ২০০ বর্গফুটের একটি গ্যারাজও রয়েছে অগ্নিমিত্রার নামে। শ্যামলের দাবি, ২০২২ সালের ৮ জুলাই ওই সম্পত্তির নথিভুক্তকরণ হয়েছে অগ্নিমিত্রার নামে।
চিঠিতে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে যে হলফনামা অগ্নিমিত্রা পেশ করেছিলেন, তাতে এই সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও তথ্যের উল্লেখ করেননি। শ্যামলের দাবি, এর মাধ্যমে অগ্নিমিত্রা জন প্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্যও কমিশনকে আর্জি জানিয়েছেন শ্যামল। দাবির সপক্ষে কিছু নথিও কমিশনকে পাঠিয়েছেন তিনি। শ্যামলের আরও দাবি, স্বামী পার্থ পালের আয়ের হিসাবও অগ্নিমিত্রা হলফনামায় দেননি। হলফনামায় দেখা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রা স্বামীর ২০১৮-১৯, ২০২৯-২০ অর্থবর্ষের আয়ের হিসাব দাখিল করেছেন। কিন্তু ২০২০-২০, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়ের হিসাব উল্লেখ করা হয়নি। এই বিষয়েই নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ওই ব্যক্তি।
এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘ওই সম্পত্তি আমার বাবা-মায়ের। আমার সঙ্গে তার আর্থিক কোনও যোগ নেই। এ সব অপপ্রচার করা হচ্ছে। তৃণমূল এ ভাবে দমিয়ে রাখতে পারবে না।’’