Man beaten to death

‘২০০ টাকা চুরি’! কিশোরকে মার আসানসোলে, ছেলেকে বাঁচাতে যাওয়ায় পিটিয়ে খুন বাবাকে

স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, ২০০ টাকা চুরির ‘অপবাদে’ এক কিশোরকে মারধর করছিলেন স্থানীয় এক দোকানদার ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন কিশোরের বাবা কৃষ্ণ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৯:১২

—প্রতীকী চিত্র।

২০০ টাকা চুরি করার অভিযোগে মারধর করা হচ্ছিল ছেলেকে! খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বাবা। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বাঁশ, শাবল দিয়ে! যার জেরে প্রাণ গেল বাবার। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামতপুর চবকা এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কৃষ্ণ গোস্বামী (৫৪)। এই ঘটনায় সুভাষ কর্মকার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কররা বলেন, ‘‘যাঁর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে নিয়েছে নিয়ামতপুর পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করেছে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, ২০০ টাকা চুরির ‘অপবাদে’ এক কিশোরকে মারধর করছিলেন স্থানীয় এক দোকানদার ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন কিশোরের বাবা কৃষ্ণ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, কৃষ্ণ সেখানে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন দোকানদার। অভিযোগ, ইট, লাঠি, বাঁশ, এমনকি শাবল দিয়েও মারা হয় কৃষ্ণকে। বেধড়ক মারে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে পড়শিরা তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

প্রতিবেশীদের দাবি, ওই কিশোর মোটেই কারও টাকাপয়সা চুরি করা হয়নি। তা সত্ত্বেও তাকে মারধর করা হচ্ছিল। পাড়া-প্রতিবেশীরা বার বার সে কথা বলছিলেন, কিন্তু কেউ কথা শোনেননি। দোকানির আত্মীয় সুভাষই বেশি মারধর করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা সন্ধ্যা বাউরি বলেন, ‘‘চুরির অপবাদ দিয়ে একটা ছেলেকে বেধড়ক মারছিল। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারধর করেছে। অনেকে মিলে মারধর করছিল। কারা করছিল, সকলের নাম আমি জানি না।।’’

পুলিশ সূত্রে খব, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডিসিপি পশ্চিম বলেন, ‘‘দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে এক জন মারা গিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement