২০২২ সাল থেকে পলাতক ছিল অভিযুক্ত। —প্রতীকী চিত্র।
বিদেশি হয়েও ভুয়ো নথি জমা দিয়ে আধার কার্ড, প্যান কার্ড বানিয়ে এক আফগান নাগরিক ভারতে অবৈধ ভাবে বসবাস করছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ তদন্তে নামার পরে ২০২২ সাল থেকে পলাতক ছিল ওই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিস। শুক্রবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে আফগানিস্তানের কাবুলে পালাচ্ছিল সে। কিন্তু ওই আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস থাকায় তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করে অভিবাসন দফতর। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দিল্লি গিয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সিকিয়োরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন। ধৃতের নাম মহম্মদ নবি খান। রবিবার ট্রানজ়িট রিমান্ডে দিল্লি থেকে এনে নবিকে কলকাতার সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে এই মামলায় পাঁচ অভিযুক্ত আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্রের খবর, শ্যামপুকুর থানার বিধান সরণি এলাকায় নবি-সহ ১০ জন আফগানিস্তানের নাগরিক অবৈধ ভাবে বসবাস করছিল বলে অভিযোগ। মামলার সরকারি আইনজীবী জয়ন্তকুমার ঘোষ জানান, একটি ওয়াকফ সম্পত্তির তিনটি ঘরে তারা অবৈধ ভাবে বাস করছিল। ২০২২ সালে ওয়াকফ কোষাধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তদন্তে নামে লালবাজারের সিকিয়োরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন।
তদন্তে উঠে আসে, ওই ১০ জনের কাছে আফগানিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে। কিন্তু ওই ১০ আফগান নাগরিক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড বানিয়ে ফেলেছে। পাঁচ অভিযুক্ত আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করা হলেও নবি-সহ বাকি পাঁচ জন পলাতক ছিল। ওই পাঁচ পলাতকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। নবি ধরা পড়লেও বাকি চার অভিযুক্ত এখনও ফেরার। এই মামলার বিচার চলছে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ।
ধৃত নবির বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দিন আদালতে জয়ন্ত বলেন, ‘‘ভুয়ো নথি ব্যবহার করে আধার কার্ড, প্যান কার্ড বানিয়েছে নবি। কোথা থেকে এই সব ভুয়ো নথি নবি পেয়েছে, তা জানতে হবে। নবি এবং তার সঙ্গীরা কী উদ্দেশ্যে ভারতে থাকছিল, তা-ও তদন্ত করে দেখা দরকার। তাই নবিকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানাচ্ছি।’’ নবিকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান তার আইনজীবী সফদার আজ়ম। বিচারক নবিকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন।