ভারতের বিরুদ্ধে আটটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাক সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। কিন্তু প্রথম থেকেই পাকিস্তান দাবি করে এসেছে, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। পহেলগাঁও হামলার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। তার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ ঘোষণা করে ভারত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল থেকে শুরু করে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত, অটারী সীমান্ত বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। এর এক দিনের মাথায় পাকিস্তানও পদক্ষেপ করল। ভারতের পাঁচের বদলে তারা আটটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। সঙ্গে দীর্ঘ বিবৃতিতে ভারতের একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। তাদের সেই বিবৃতি পড়ে দেখল আনন্দবাজার ডট কম।
পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে অমীমাংসিত বিরোধ ‘কাশ্মীর’। রাষ্ট্রপুঞ্জের একাধিক প্রস্তাবে তা স্বীকৃত। কাশ্মীরের মানুষের অধিকারকে পাকিস্তান সমর্থন করে। ভারতের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সেখানকার মানুষ পছন্দ করেন না। তার ফলে কাশ্মীরে হিংসা স্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলমানদের উপর নির্যাতনও বৃদ্ধি পেয়েছে। জোর করে ওয়াকফ বিল পাশ করা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ।’’
পাকিস্তান আরও বলেছে, ‘‘পহেলগাঁওয়ের মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কাজে লাগানোর ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে ভারতকে। তারা নিজেদের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তার দায় নিতে হবে।’’ বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘পাকিস্তান সর্বতোভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। বরং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে ভারত পূর্ব সীমান্তে বার বার অশান্তির চেষ্টা করে থাকে। কোনও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং প্রমাণের অভাবেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এটা ভিত্তিহীন। এটা আসলে হেরে যাওয়ার যুক্তি। এর বিপরীতে, পাকিস্তানে ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। পাক জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদব এর জলজ্যান্ত প্রমাণ।’’
ভারতের পদক্ষেপগুলির নিন্দা করেছে পাকিস্তান। বলা হয়েছে, ‘‘২৩ এপ্রিল ভারতীয় বিবৃতিতে থাকা হুমকির নিন্দা করছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। ভারত বার বার আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে। পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশ তার প্রমাণ পেয়েছে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিরাপত্তার উপর যে কোনও হুমকির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। নিজেদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগিয়ে পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা নিয়ে দোষারোপের খেলা বন্ধ করা উচিত ভারতের। এই ধরনের কৌশল কেবল উত্তেজনাই বৃদ্ধি করে।’’
এর পর বিবৃতিতে আটটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান—