(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের নেতারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বলছিলেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্ব দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি মমতাও জানিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্ব পেলে বাংলায় বসেই সেই দায়িত্ব সামলে নিতে পারবেন। তার পর প্রবীণ লালুপ্রসাদ যাদবও বলেছেন, তিনিও মনে করেন সর্ভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত মমতারই। জাতীয় রাজনীতিতে যখন এই নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন সোমবার সংসদের বাইরে মমতার নেতৃত্বের প্রসঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’য় আলোচনা দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বলেন, ‘‘এই বিষয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে। তিনি বর্ষীয়ান নেত্রী, তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাই এ নিয়ে বিশদে বৈঠক করে আলোচনা করতে হবে।’’ সর্বভারতীয় দলগুলি আঞ্চলিক দলগুলিকে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে, তা নিয়েও পরোক্ষে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেছেন, ‘‘কোনও দলকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। তৃণমূলই একমাত্র দল, যারা কংগ্রেস এবং বিজেপিকে হারিয়েছে।’’
এ বারের লোকসভায় আসনসংখ্যা বাড়িয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশিই, বিজেপির সংখ্যা যেমন সারা দেশেই কমেছে, তেমন বাংলাতেও ১৮ থেকে কমে ১২-তে গিয়ে ঠেকেছে পদ্মশিবির। সেই প্রসঙ্গেই বাংলার ভোটে বিজেপিকে ঠেকানোর তৃণমূলের ‘স্ট্রাইক রেট’ স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এক দেশ, এক ভোট নিয়ে তোপ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক দেশ, এক ভোট প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এ বার তা বিল আকারে পেশ হবে সংসদে। তা নিয়েও অভিষেক কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট হয়েছিল আট দফায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট হয়েছিল সাত দফায়। দেড় মাস আগে ছোট্ট ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হয়েছে দু’দফায় । যে সরকার সাত দফা-আট দফায় বিধানসভা, লোকসভা ভোট করে, তারা এক দফায় ভোট করবে কী ভাবে?’’
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, পুরসভা, পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা— প্রতিটি স্তরে মানুষ পাঁচ বছর অন্তর ভোট দেন। এক দেশ, এক ভোট সেই অধিকারকেই কেড়ে নিতে চায়। অভিষেকের বক্তব্য, সংবিধান বদল করার পথে যে বিজেপি হাঁটছে, এটা তারই উদাহরণ।