— প্রতীকী চিত্র।
ভিন্ রাজ্যে শুধু নয়, এ বার আলু রফতানি হচ্ছে ভিন্ দেশেও। আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রেই জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকেই আলু যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখানে আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে আলুর দাম কমার কোনও সুযোগ নেই। হিমঘরেও এ বার আলুর মজুত অনেকটাই কম। সরকার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। তার আগেই হিমঘর খালি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ট্রাক আলু বাংলাদেশ যাচ্ছে। এ ছাড়া, হিলি ও মেহেদিপুর সীমান্ত দিয়েও বাংলাদেশে আলু যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য জগদীশ সরকার বলেন, ‘‘লাল আলুই মূলত বাংলাদেশে যাচ্ছে।’’ কোচবিহারে বর্তমানে সাদা আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, লাল আলু ৪০ টাকা কেজি এবং নতুন আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নতুন আলুর উৎপাদন বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন বাজারেও আলু-পেঁয়াজের দাম কমার নাম নেই। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। মঙ্গলবার বিকালে বৈঠকে বসলেন আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আজ, বুধবার থেকে জেলার বিভিন্ন বাজারে হানা দিতে পারেন জেলার টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। যদিও আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক দেবব্রত রায় বলেন, “এখানকার বাজারগুলোতে আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে অভিযোগ উঠছে। তাই বিষয়টি আরও কড়া ভাবে দেখা হচ্ছে।” সে জন্যই এ দিন জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হয় বলেও জানান মহকুমাশাসক।
অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন বাজারে নতুন আলু ৫৫-৬০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অনেক বাজারে পুরানো আলুও বিক্রি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৪০টাকা প্রতি কেজিতে। বেশ কিছু বাজারে পেঁয়াজ ৭০টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।