Chhath Puja

হড়পার সতর্কবার্তা নেই, ছটে তবু প্রস্তুত প্রশাসন

দু’বছর আগে দশমীর রাতে হড়পা বান এসেছিল মাল নদীতে। ভুটান বা উপরের দিকে বৃষ্টি হয়েছে কি না, সে তথ্য সে সময়ে প্রশাসনের কাছে ছিল না।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩১
ছটপুজোর মুহূর্ত।

ছটপুজোর মুহূর্ত। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হড়পা বানের কোনও সর্তকবার্তা আপাতত নেই। সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম বন্ধ করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। যদিও ছটপুজোর জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলছে জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা এবং হড়পা বান-প্রবণ সব নদীতেই ছটপুজো হয়। সে কারণেই কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের। ভুটান বা সিকিমে হঠাৎ করে বৃষ্টি হলে, অথবা কোথাও কোনও জলাধার উপচে পড়লে, সে খবর যাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট সব ব্লকে পৌঁছনো যায় সে লক্ষ্যেই কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত।

Advertisement

দু’বছর আগে দশমীর রাতে হড়পা বান এসেছিল মাল নদীতে। ভুটান বা উপরের দিকে বৃষ্টি হয়েছে কি না, সে তথ্য সে সময়ে প্রশাসনের কাছে ছিল না। আগে থেকে অতিবৃষ্টির কথা জানা থাকলে বিপর্যয় এড়ানো যেত বলে মনে করা হয়। সেচ দফতরের একটি সূত্রের দাবি, হয়তো প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া কোনও জলাধারে জল জমতে জমতে ভরে যায়। তার পরে হঠাৎ একটু বৃষ্টিতেই সেই জলাধার উপচে নদীতে হড়পা বান হয়ে নেমে আসতে পারে। সে কারণেই সতর্কতা।

মাল নদী ছাড়াও, তিস্তা, জলঢাকা, লিস, ঘিস, মূর্তি, চেল, ডায়না, জর্দা, পাগলি, করলা, ধরলা সব নদীতেই ছটপুজোর ঘাট হয়। প্রশাসন তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। প্রশাসনের এক আধিকারিকের মন্তব্য, “ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে জলপাইগুড়ির পুজো উদ্বোধনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দিন হড়পা বান নিয়ে সতর্ক করেছেন। তার পরেই বিসর্জন থেকে ছটপুজো সব সময়েই হড়পা বানের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।” জলপাইগুড়ির সব নদীঘাটে অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকছে। সে সঙ্গে কোনও নদীর মাঝামাঝি যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একাধিক নদীতে মাঝ বরাবর ব্যারিকেড তৈরি করে দিয়েছে প্রশাসন। সেচ দফতরের সঙ্গে সমম্বয় করে নজরদারি রাখবে কন্ট্রোল রুম। ভুটান, সিকিমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের তথ্যও নেবে কন্ট্রোল রুম।

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন বলেন, “হড়পা বানের কোনও সতর্কতা নেই ঠিকই। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে।” নদীঘাটের যেখানে পথবাতি নেই, অথচ, ছটপুজোর আয়োজন হয়েছে, সেখানে আলোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেল এবং শুক্রবার ভোর—দুই সময়েই আলোর প্রয়োজন হবে। কোনও কারণে নদীতে জল বেড়ে গেলে বিপদ হতে পারে সে আশঙ্কাতেই আলো লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জলপাইগুড়ির বাবুঘাট থেকে রাজবাড়ি ঘাট, সমাজপাড়া ঘাট, মাসকলাইবাড়ি ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটে মহিলা পুলিশের দল রাখা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement