Cooch Behar

Municipal Election in West Bengal: ছিলেন মন্ত্রী, হলেন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান হবেন কি, ভোটে জিতে রবি কী বললেন

কোচবিহার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭৩১ ভোটে জয়ী প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনিই কি এ বার পুরসভার চেয়ারম্যান?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২২ ১২:০৫
মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলর হলেন রবীন্দ্রনাথ।

মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলর হলেন রবীন্দ্রনাথ। নিজস্ব চিত্র

এবার প্রথম পুরভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বস্তুত, কোচবিহার পুরসভায় তাঁকে ‘মুখ’ করেই প্রচারে নেমেছিল তৃণমূল। কোচবিহার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭৩১ ভোটে জয়ী হলেন তিনি।

বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। এবার কাউন্সিলর। তাঁকে যদি পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়? রবীন্দ্রনাথের জবাব, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায় ঠিক করবেন। তিনি যেটা ঠিক করবেন সেটাই হবে।’’ অর্থাৎ, মমতা তাঁকে চেয়ারম্যান করলে আপত্তি করবেন না প্রাক্তন মন্ত্রী।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বুধবার ভোটগণনার শুরুতেই কোচবিহার নৃপেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘রাজ্যের ১০৮টি পুরসভাতেই আমরা বোর্ড গঠন করব। জয়ের ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী।’’ বাবার জয়ের পর সবুজ আবির মেখে প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যা পাপিয়া বলেন, ‘‘এটা শুধু বাবার জয় নয়। এটা কোচবিহার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। কোচবিহারবাসী উন্নততর কোচবিহারের জন্য ভোট দিয়েছেন।’’

কোচবিহার জেলার পুরভোটে বিরোধীরা কার্যত ধুয়েমুছে সাফ। মাথাভাঙা পুরসভার ১২টির মধ্যে ১২টি আসনই পেয়েছে তৃণমূল। তুফানগঞ্জেও ১২-তে ১২, হলদিবাড়িতে১১-র ১১টি আসন, মেখলিগঞ্জে ৯টির মধ্যে ৯টি আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তবে কোচবিহারে ২০টির মধ্যে ১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে শাসকদল। সিপিএম পেয়েছে দুটি আসন। তবে কোচবিহারে তৃণমূল সবক’টি আসন না-পেলেও দলের ফলাফলে দারুণ খুশি রবীন্দ্রনাথ।

উল্লেখ্য, ২০১১ থেকে দু’বার কোচবিহারের নাটাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ২০১৬ সালের ভোটে জিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি প্রার্থী মিহির গোস্বামীর কাছে হেরে যান রবীন্দ্রনাথ। এ বার উত্তরবঙ্গের ‘ওজনদার’ এই নেতাকে পুরভোটের লড়াইয়ে নামায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন
Advertisement