Siliguri Municipality

জমি দখল: মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে আলোচনায় মেয়র

মাটিগাড়ায় দার্জিলিং মোড় লাগোয়া একটি বেসরকারি টাউনশিপের কাছে প্রায় ৯.৯০ একর জমি রয়েছে সাহুডাঙ্গির আশ্রম কর্তৃপক্ষের।

Advertisement
শুভঙ্কর পাল
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৩২
গৌতম দেব।

গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।

রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের অভিযোগ সামনে আসতেই তড়িঘড়ি সন্ন্যাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। শুক্রবার দুপুরে পুরসভায় নিজের ঘরে রামকৃষ্ণ মিশনের সাহুডাঙ্গির রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মেয়র। প্রায় ২৫ বছর আগে দখল হয়ে যাওয়া জমি যাতে রামকৃষ্ণ মিশন ফেরত পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র।

Advertisement

মাটিগাড়ায় দার্জিলিং মোড় লাগোয়া একটি বেসরকারি টাউনশিপের কাছে প্রায় ৯.৯০ একর জমি রয়েছে সাহুডাঙ্গির আশ্রম কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বিনয়ানন্দ দাবি করেন, সে জমির প্রায় পুরোটাই দখল হয়ে গিয়েছে। জমির জন্য মিউটেশনের আবেদন করলেও, তা হয়নি বলেও জানান তিনি। আলোচনার পরে মেয়র গৌতম দেব বলেন, “বহু বছর আগে কিছু জমি দানে পেয়েছিল এবং বাকি জমি কিনেছিল আশ্রম। বাম আমলে সে জমি দখল হয়ে গিয়েছে। এখন আশ্রম কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের আস্থা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় তাঁরা জমি ফিরে পাবেন। আমি যেখানে বিষয়টি জানানোর সেখানে জানাব।”

জমি দখল হতে দেখে ২০২২ সালে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়ায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরেই আশ্রমের সন্ন্যাসীরা জানতে পারেন, যে ওই জমি অন্যদের নামে আগেই মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। পুরোটাই আশ্রমকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পরে স্বামী বিনয়ানন্দ বলেন, “আশা করছি, আমাদের জমি উদ্ধার হবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। অনেকে মিলে জমি দখল করে রেখেছে। মেয়রকে আবেদন জানিয়েছি, যাতে জমি ফিরে পাওয়া যায়। তিনি দেখছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

প্রায় ২৫ বছর আগে, জমি দখল করা হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু এত দিন পরে সেই অভিযোগ জানানো নিয়ে সম্পাদকের কথা, “মাঝে আমরা চেষ্টা করেছিলাম, যাতে জমি ফেরত পেতে পারি। কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় ও কিছু সমস্যার জন্য তা হয়ে ওঠেনি। যে কারণে এখন বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।” দখল হয়ে যাওয়া জমিতে বড় গ্যারাজ, গুদাম তৈরি হয়েছে। আশ্রম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, জমির জাল কাগজ তৈরি করে সেই জমি দখল করা হয়েছে। মেয়র বলেন, “যাঁরা সেই জমিতে রয়েছেন, সন্ন্যাসীরা এখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ওই জমি পুরসভা এলাকার মধ্যে নেই। তবুও আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্টজায়গায় জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement