Road Accident at Malda

প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আর ফেরা হল না বাড়ি, মালদহে পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত ৩, আহত চালক-সহ ৩

শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। একটি পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তিন পথচারীর। আহত হয়েছেন ঘাতক গাড়ির চালক-সহ আরও দু’জন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৬
(বাঁ দিকে) শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের কাছে রাস্তার ধারে খালে ঘাতক গাড়ি। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের কাছে রাস্তার ধারে খালে ঘাতক গাড়ি। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে শনিবার ভোরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন পথচারীর। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঘাতক গাড়ির চালক এবং দুই পথচারী। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কাবুয়া রোডের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। আহতদের উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে ঘাতক গাড়ির চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম দিলীপ সাহা (৪৯), সুরেশ খৈতান (৬০) এবং ফেকনলাল রাম (৬৫)। আহত হয়েছেন শ্রাবণী সাহা এবং শঙ্করপদ কর্মকার নামে দুই পথচারী। পাঁচ জনেরই বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা গ্রামে। শনিবার ভোরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কাবুয়া রোড এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি মন্দিরের সামনে ব্যায়াম করছিলেন। ওই সময়েই একটি পিক আপ ভ্যান ধাক্কা তাঁদের ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে শুকনো খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার অভিঘাতে প্রায় ৫০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন পথচারীরা। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের।

পরে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আহতদের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দুর্ঘটনার যে অভিঘাত, তাতে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে গাড়িটির গতি যথেষ্ট বেশি ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাতক গাড়িটিকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement