—প্রতীকী ছবি।
স্কুলের ভিতর এক শিক্ষিকাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষিকা শৌচাগারে প্রবেশ করতেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিক্ষিকার গলা ও শরীরে নানা জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক স্কুলের ভিতর কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রায়গঞ্জ থানা এলাকার নর্থ সার্কেলের ভাতুন এফপি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুল সূত্রে খবর, শৌচাগারে ঘাপটি মেরে ছিলেন দু’জন। তাঁর মুখ কাপ়ড় দিয়ে বাঁধা ছিল। শিক্ষিকা রত্না খাতুন শৌচাগারে যেতেই তাঁর উপর হামলা চালান দু’জন। রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষিকা মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। রত্নার স্বামী আব্দুল জলিলের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে তাঁর স্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে।
জখম শিক্ষিকার পরিবার সূত্রের খবর, রত্নার আগে এক বার বিয়ে হয়েছিল। অসুস্থতার কারণে প্রথম পক্ষের স্বামীর মৃত্যু হয়। আব্দুল তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন রত্না। ২০১৪ সালেও এক বার তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তাঁর ছেলে মহাম্মদ রাসেল কলেজে পড়ে। তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘সন্দেশখালি হোক বা মালদহ বা উত্তর দিনাজপুরের ভাতুন, কোনও জায়গাতেই মেয়েরা এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। আজকের এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, মেয়েরা কতটা অসুরক্ষিত এই রাজ্যে। শিক্ষিকা স্কুলের মধ্যে আততায়ী দ্বারা আহত হয়েছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না। এ রাজ্যে সমাজ সংস্কারের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের উপরই এই ধরনের আক্রমণ নেমে আসবে! মাফিয়া পুলিশ ও তৃণমূল দল এবং দুষ্কৃতীর সব এক হয়ে গিয়েছে। এখানে কেউ নিরাপদ নয়।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয়। যাঁর উপর এই আক্রমণ, তিনি নিশ্চয়ই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন। পুলিশ আততায়ীদের খুঁজে বার করবে এবং আইন আইনের পথেই চলবে।’’