National Highway 10

জোর তৎপরতা জাতীয় সড়কে

আপাতত সিকিমে যাতায়াতের মূল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। রাস্তার মাঝে সবচেয়ে খারাপ অংশ এ দিন খুলেছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:০০
পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।নিজস্ব চিত্র

পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

Advertisement

আবহাওয়া কিছুটা পরিষ্কার হতেই সিকিম ও কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সড়কের সবচেয়ে খারাপ এলাকা সেলফিদাঁড়ায় পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সড়কটি পুরোপুরি খোলার মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

কালিম্পঙের জেলাশাসক বালসুব্রহ্মণ্যন টি বলেন, ‘‘রাজ্যের পূর্ত দফতর কাজ করছে। কাজ শেষ হলে জানানো হবে। সেই মতো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাস্তা খোলার বিষয়টি বলা হবে। আরও এক সপ্তাহ কাজ হবে বলেই মনে হচ্ছে।’’

গত দু’দিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও গরম বাড়ছে পাহাড়় ও সমতলে। তবে জুলাইয়ের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিতে জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেলফি়দাঁড়া, বিরিকদাঁড়া, লিকুভির, রংপো, মেল্লি-সহ বহু জায়গায় রাস্তা বসে গিয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় সিকিমের প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং দাবি করেছেন। রাস্তাটি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের আওতায় দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

আপাতত সিকিমে যাতায়াতের মূল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। রাস্তার মাঝে সবচেয়ে খারাপ অংশ এ দিন খুলেছে। অন্য দিকে, বাগরাকোট থেকে নির্মীয়মাণ ৭১৭-এ জাতীয় সড়কও বন্ধ। সেটিও খোলার চেষ্টা চলছে। সিকিম-বাংলা সীমানায় রংপোয় ঢোকার মুখে, নিয়মিত রাস্তা বসে যাচ্ছে। সিকিমের মেল্লির দিকেও অবস্থা ভাল নয়। আগামী বর্ষায় রাস্তাটি খুললে কতদিন ঠিক থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এবং মৌসুমি অক্ষরেখার স্বাভাবিক অবস্থানের চেয়ে দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য আগামী আরও অন্তত দু’এক দিন উত্তরবঙ্গে প্রবল গরম থাকবে বলেই ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। পরিষ্কার আকাশে রোদের তেজ তাপমাত্রা চড়িয়েছে ৩৪-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তার সঙ্গে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য গরমের অনুভূতি অনেক বাড়িয়ে তুলেছে বলেই জানান আবহাওয়া আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, আগামী কয়েক দিন
বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে পুরো উত্তরবঙ্গে
জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওআ দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘আগামী ২০ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতি একটু বদলাতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কয়েকটি জেলায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement