Corona Virus JN 1

পরিকাঠামো যাচাই শুরু হাসপাতালে

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায়ের দাবি, রোগীর অভাবে প্রায় এক বছর ধরে ‘কোভিড সিসিইউ’ ইউনিট বন্ধ রয়েছে।

Advertisement
গৌর আচার্য 
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২৯
রায়গঞ্জ মেডিক্যালের 'কোভিড সিসিইউ ' ইউনিটের চিকিৎসা পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের 'কোভিড সিসিইউ ' ইউনিটের চিকিৎসা পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দেশে করোনাভাইরাসের নতুন জেএন ১. উপপ্রজাতির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে কেন্দ্র বার্তা দিয়েছে রাজ্যকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি রাখার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর পরেই মেডিক্যালের ‘কোভিড সিসিইউ’ ইউনিটের পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে ‘ড্রাই রান’ শুরু করেছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেও করোনার চিকিৎসা পরিকাঠামো যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায়ের দাবি, রোগীর অভাবে প্রায় এক বছর ধরে ‘কোভিড সিসিইউ’ ইউনিট বন্ধ রয়েছে। প্রায় তিন মাস ‘কোভিড জেনারেল’ ওয়ার্ডে কোনও রোগী ভর্তি হননি। প্রিয়ঙ্কর বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে কোভিড সিসিইউ ইউনিটের চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন করে কোভিড জেনারেল ওয়ার্ড চালুরও তোড়জোড় শুরু হয়েছে।’’

বস্তুত, মেডিক্যালের কোভিড সিসিইউ ইউনিটে ১৬টি শয্যা রয়েছে। কোভিড জেনারেল ওয়ার্ডে শয্যা-সংখ্যা ৫৪টি। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে মেডিক্যালের করোনা-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যালের কর্তারা কোভিড সিসিইউ ইউনিটের ‘ড্রাই রান’ শুরু করেছেন। ওই প্রক্রিয়ায় ইউনিটের প্রতিটি শয্যার রোগীদের ভেন্টিলেশন পদ্ধতি, মনিটর, অক্সিজেন পাইপ লাইন, ইউনিটের অক্সিজেন সরবরাহ, চিকিৎসার বৈদ্যুতিন ও সাধারণ সামগ্রী ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ওই ইউনিটে রোগীদের শয্যা, মেঝে, দেওয়াল, শৌচাগার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো সাফাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। মেডিক্যালের 'সুপার স্পেশালিটি' ভবনে কোভিড সাধারণ ওয়ার্ড, সেখানকার রোগীদের সমস্ত শয্যা, শৌচাগার, চিকিৎসার বিভিন্ন সামগ্রী সাফাই করে সেগুলি প্রস্তুত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুত করার কাজ শুরু করেছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘করোনা রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্য দিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, জেলার সব হাসপাতালে করোনা রোগীদের সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা প্রস্তুত রাখার কাজ শুরু হয়েছে বলে দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, ‘‘মালদহ মেডিক্যাল ও জেলার বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডের সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।’’

তথ্য সহায়তা: শান্তশ্রী মজুমদার, জয়ন্ত সেন

আরও পড়ুন
Advertisement