CTC Tea Production

নতুন করে কমে গেল সিটিসি চায়ের উৎপাদন

শীতে চা পাতা তোলা বন্ধ হয়ে যাবে। চলতি বছরে পর্ষদ জানিয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পরে, পাতা তোলা যাবে না। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে ঝকঝকে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP

বছরের শেষে এসে উত্তরবঙ্গের সিটিসি চায়ের উৎপাদন কমে গেল অনেকটাই। চলতি মাসে চা পর্ষদের (টি বোর্ড) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ডুয়ার্সে অন্তত ১১ শতাংশ এবং তরাইয়ে ন’শতাংশের কিছু বেশি উৎপাদন কমেছে। তবে এরই মধ্যে সুখবর বড় পাতার দার্জিলিং চায়ে। সেপ্টেম্বরে দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ শতাংশেরও বেশি। যদিও বছরের গোড়া থেকেই দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন মার খেতে থাকায় এই সময়ে গত বছরের উৎপাদনের পরিমাণ থেকে এ বছর দার্জিলিং চা পিছিয়ে রয়েছে।

Advertisement

চা গবেষণা সংস্থা থেকে উৎপাদন-সহ আবহাওয়ার তথ্য নিয়ে চা পর্ষদ চায়ের বাজার এবং উৎপাদনের সামগ্রিক তথ্য প্রকাশ করে। চা গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে দার্জিলিং পাহাড়ে স্বাভাবিক আবহাওয়ার তারতম্য না ঘটায়, উৎপাদনে প্রভাব পড়েনি। তবে ডুয়ার্স-তরাইয়ে হঠাৎ বৃষ্টি আর তার পরেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোগ-পোকার আক্রমণ বেড়েছে এবং গাছে থাকতেই পোকায় খেয়েছে চা পাতা।

শীতে চা পাতা তোলা বন্ধ হয়ে যাবে। চলতি বছরে পর্ষদ জানিয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পরে, পাতা তোলা যাবে না। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে ঝকঝকে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। যদিও এই আবহাওয়াও চা পাতাকে সুখস্পর্শ দিচ্ছে না। হিম পড়তে থাকায় চা উৎপদানে আরও ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মরসুমে হাতে রয়েছে দেড় মাস। এই সময়ে উৎপাদন আরও কমলে, বছরের শেষে চা শিল্পে বড়সড় ধাক্কা নেমে আসতে পারে বলে দাবি। উৎপাদন কমার সঙ্গে চা পাতার গুণগত মানও খারাপ হচ্ছে। তার ফলে বিদেশের বাজার হাতছাড়া হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডুয়ার্স শাখার চেয়ারম্যান জীবনচন্দ্র পাণ্ডে বলেন, ‘‘এ বছরটা চা পাতার জন্য ভাল গেল না। দামও বেশি হচ্ছে না। শীতে
চা পাতার স্বাদ ভাল হয়, বাজারে কদরও থাকে। এ বছর কী হবে, বলা যাচ্ছে না।’’

গত সেপ্টেম্বরে সব চেয়ে বেশি উৎপাদন কমেছে ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ির চা বাগানগুলিতে, প্রায় ২০ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে কালচিনির বাগান, সেখানে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং চালসা এলাকার বাগানে প্রায় ১২ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। চা পাতার উৎপাদন মার খাওয়ায় বড়-ছোটও বিভেদ নেই। ছোট চা বাগানের মালিকদের সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পাতার উৎপাদন এত কমেছে যে, বহু চা পাতা তৈরির কারখানা এ বছর খোলেইনি। শীতের মাস শেষ হলেই নতুন পাতা উঠবে। তখন যে কী পরিস্থিতি হয়, তা ভেবেই
ভয় লাগছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement