গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাব-কাণ্ডের তদন্ত শুরু হতেই এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক বাবুল হুসেন ওরফে বাবর। ১৪ দিন হয়ে গেলেও স্কুল-মুখো হয়নি সে। এমনকি, তার সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। অনলাইনে জনপ্রকল্পের টাকা হাতিয়ে এক সময় কেরল গ্রেফতার হওয়া বাবুল কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
স্থানীয়দের দাবি ট্যাব-কাণ্ডে ক’দিন আগে গ্রেফতার হওয়া সাদিক হোসেন বাবুলের নিকটাত্মীয়। সাদিক তার কম্পিউটারের দোকানেই কাজ করত। ট্যাব-চক্রে বাবুল ও সাদিকের যোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এখনও অধরা বাবুল। এই প্রসঙ্গে সোমবার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মধুচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘বাবুল আজও স্কুলে আসেনি। বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে ফোন করে জানানো হয়েছে। উনি যা নির্দেশ দিচ্ছেন, তা-ই পালন করা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, ট্যাব-কাণ্ডের তদন্তে গরুবাথান থানার পুলিশ সোমবার দুপুরে চোপড়ায় যায়। বিকেল নাগাদ সেখানে যান বর্ধমান সাইবার অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরাও। পরে সেখান থেকে তাঁরা যায় লালবাজারের দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। এর পরে চোপড়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকাতে অপরাধীদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিনে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের বাড়িতে বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি-সহ বেশ কিছু থানা ও সাইবার অপরাধ দমন শাখার কর্মীরা ‘নোটিস’ পাঠান। চোপড়া থানা আইসি সুরজ থাপা বলেন, ‘‘বেশ কিছু জেলার পুলিশ এলাকায় এসে তল্লাশি চালাচ্ছে। অভিযুক্তেরা অনেকেই এলাকা ছাড়া। বেশ কিছু থানা থেকে এসে অনেক বাড়িতে ‘নোটিস’ দিয়ে যায়। পুলিশের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ স্থানীয়দের দাবি, কয়েক দিনে ট্যাব-কাণ্ডে চোপড়ার ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বেশ কিছু থানা ও সাইবার অপরাধ দমন শাখার পুলিশ। অনেকেরই দাবি, শুধু ট্যাব-কাণ্ড নয়, এলাকায় অনেক যুবকই রয়েছে, যারা একাধিক অনলাইন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। গত কয়েক বছরে এলাকার অনেক যুবক আর্থিক দিক দিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অনেকে দামি বাইক, গাড়িও ব্যবহার করে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।