Malda Murder Case

নলি কেটে খুনের পরে দেহ পোড়ানো হয় আমবাগানে! মালদহ-কাণ্ডে নাম জড়াল মৃত মহিলার প্রাক্তন স্বামীর

মালদহের চাঁচল থানা এলাকায় একটি আমবাগান থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় হার, নাকছাবি, সিঁদুর ইত্যাদি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০২
MURDER

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মালদহে মহিলাকে খুন করে আমবাগানে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রাক্তন স্বামীর হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ঘটনায় ধৃত আবু তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে প্রাক্তন স্বামীর যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও মৃতার প্রাক্তন স্বামীর এখনও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

শুক্রবার সকালে মালদহের চাঁচল থানা এলাকায় একটি আমবাগান থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় হার, নাকছাবি, সিঁদুর ইত্যাদি। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগে মেলে আধার এবং ভোটার কার্ড। তার পরেই দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। জানা যায়, মৃতার বাড়ি চাঁচল থানা এলাকাতেই। তাঁর দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।

অন্য দিকে, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে পূর্ব বর্ধমান থেকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁকে একটি ট্রেন থেকে ধরা হয়। ধৃত ব্যক্তি দাবি করেছেন, মহিলাকে নলি কেটে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এই হত্যাকাণ্ডে তিনি একা জড়িত নন, হাত রয়েছে মহিলার প্রাক্তন স্বামীরও। দু’জনে মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যদিও আবু নিজে এই খুনের সঙ্গে কেন জড়িত, মহিলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, কী কারণে খুন করা হল মহিলাকে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে খবর, চাঁচলের ওই মহিলার সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের এক যুবকের। দম্পতির দুই সন্তান আছে। তবে বছরখানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর মহিলা থাকতেন বাপের বাড়িতে। শনিবার তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন বাপের বাড়ির লোকজন। অন্য দিকে, ধৃতের বাড়িও কালিয়াগঞ্জে। রবিবার চাঁচল আদালতে তোলার সময়ে অভিযুক্ত দাবি করেন, ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশ করে খুন করেছেন তিনি। কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

রবিবার কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত বলেন, ‘‘আমাকে জবরদস্তি করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার সঙ্গে মহিলার প্রাক্তন স্বামীও ছিলেন। ওর সঙ্গেই করেছি (খুন)।’’ পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মামলায় বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে তারা। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সে সব প্রকাশ করা হচ্ছে না।

Advertisement
আরও পড়ুন