Ramakrishna Mission Incident

শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় কলকাতায় পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

রামকৃষ্ণ মিশনের গত শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, শম্ভু মাহাতো এবং শ্যামল বৈদ্য ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ০০:৩৩
আমন ঘোষ ওরফে মনোজ।

আমন ঘোষ ওরফে মনোজ। — নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ির সেবক রোডের কাছে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। সেই অভিযানে বড় সাফল্য পেল এসওজি। কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য আমন ঘোষ ওরফে মনোজকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা-সহ একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে মনোজ সরাসরি জড়িত।

Advertisement

রামকৃষ্ণ মিশনের গত শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, শম্ভু মাহাতো এবং শ্যামল বৈদ্য ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। অন্য এক ধৃত মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা রাজীব বসাক। যদিও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর খোঁজ চলছে।

রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোর সেখানে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ‘দুষ্কৃতী হামলা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তার পরেই অভিযানে নামে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement