হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পূর্ণিমা বর্মণ নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
‘সব্জি’র বিষক্রিয়ায় একই এলাকায় কয়েকটি পরিবারের অন্তত ১৯ জন অসুস্থ। মৃত্যু হল এক জনের। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার শীতলখুচি আকড়ার হাট সংলগ্ন এলাকায়। এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আকড়ার হাট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বাজার থেকে ‘গাছ আলু’ নামে একটি সব্জি কিনেছিলেন। বাড়িতে রান্না হয়েছিল সেটির। তাই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েক জন। পরে জানা গিয়েছে, আদৌ সব্জিটি ‘গাছ আলু’ ছিল না। বাজার থেকে ‘গাছ আলু’ ভেবে যে যে সব্জি তাঁরা কিনেছিলেন, সেটি বিষাক্ত কোনও গাছের মূল ছিল। দেখতে ‘গাছ আলু’র মতো। ওই বিষাক্ত গাছের মূল রান্না করে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ২০ জন। অসুস্থদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবার তাঁদের মধ্যে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পূর্ণিমা বর্মণ। বয়স ৬২ বছর। বাকিদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর বলে খবর। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১৮ জন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
অসুস্থদের পরিবারের এক সদস্য কবিতা বর্মণ বলেন, ‘‘রবিবার সকালবেলা আকড়ার হাট থেকে একটি সব্জি কিনে আনা হয়েছিল। সেটি রান্না করে খাওয়ার কিছু ক্ষণ বাদে বমি শুরু হয়। একে একে পরিবারের সকলে অসুস্থ হতে থাকে। আমাদের এলাকায় আরও অনেকে সব্জি ভেবে বিষাক্ত কোনও গাছের মূল কিনে এনেছিলেন। যাঁরা যাঁরা সেই সব্জি রান্না করে খেয়েছেন, প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পূর্ণিমা নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।’’
মাথাভাঙা হাসপাতালের এক চিকিৎসকও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘যেটি রান্না করে খাওয়ার পর অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়, সেই জিনিসটি বাড়ি থেকে এক জন এনেছিলেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে। অসুস্থদের প্রত্যেককে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। তবে যাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এক জনকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।’’