অমৃত ভারত প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের ১৬টি স্টেশন

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্টেশনগুলির কয়েকটিতে আগামী ৬ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর অনলাইন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।

Advertisement
শান্তশ্রী মজুমদার
উত্তরবঙ্গ শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ০৭:০৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে অমৃত ভারত প্রকল্পের স্থান পাচ্ছে উত্তরবঙ্গের ১৬টি স্টেশন। আগামী ৬ই অগস্ট প্রধানমন্ত্রী ওই স্টেশনগুলি নিয়ে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করবেন বলেই রেল সূত্রের খবর। একমাত্র জলপাইগুড়ি জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি স্টেশন নির্বাচিত হয়েছে। দেশের ১০০০টি স্টেশনের সঙ্গেই এই স্টেশনগুলিতে পরিকাঠামো যাত্রী সুবিধা এবং যাত্রী নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হবে বলেই রেল সূত্রের খবর।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্টেশনগুলির কয়েকটিতে আগামী ৬ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর অনলাইন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। সেগুলিতে নিরাপত্তা এর মধ্যেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, এই স্টেশনগুলিতে আধুনিক মানের শৌচাগার নির্মাণ, আধুনিকমানের বাড়তি প্ল্যাটফর্ম তৈরি, টিকিট বুকিং ব্যবস্থা আধুনিক মানের করা, স্টেশন সৌন্দর্যায়ন এবং স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ ওই দিন থেকেই হাতে নেবে রেল। বাড়তে পারে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপ।

রেল সূত্রে খবর, নিউ আলিপুরদুয়ার, দলগাঁও, ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি রোড, ফালাকাটা, বিন্নাগুড়ি, দিনহাটা, নিউ মাল, হাসিমারা, কামাখ্যাগুড়ি, ডালখোলা, জলপাইগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ, আলুয়াবাড়ি রোড, সামসি এবং হলদিবাড়ি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্প স্থান পেয়েছে। শেষ মুহূর্তে আরও কয়েকটি স্টেশন যাতে ওই প্রকল্পে ঢোকানো সম্ভব হয়, সেই চেষ্টাই করছেন বিজেপির সাংসদেরা।

জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এই স্টেশনগুলি একটু পিছিয়ে ছিল। সেগুলিকেই উন্নতমানের করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির এতগুলি স্টেশন তালিকায় রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট দৌড়ঝাপ করতে হয়েছে।’’ মঙ্গলবার রেলমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বালুরঘাট স্টেশনটিকেও অমৃত ভারত প্রকল্পে ঢোকানোর প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘যাত্রীরা পরিষেবা ঠিকঠাক মতো পান না। নিরাপত্তা ঢিলেঢালা। বাথরুমে যাত্রীরা আটকে পড়ে। নতুন করে স্টেশন আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ভাল কথা। কিন্তু পরিষেবা ঠিকঠাক মিলবে তো?’’ শিলিগুড়ি জংশন এবং শিলিগুড়ি টাউন যথেষ্ট পুরনো দু’টি স্টেশন। সেই দু’টিকে কেন প্রকল্পে আনা হচ্ছে না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন
Advertisement