CAA Issue

পোর্টাল খোলা, আবেদন কোথায়!

শুক্রবারও জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ, ক্রান্তি-সহ কয়েকটি ব্লকে সিএএ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হয়েছে।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৬:৪১
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে উচ্ছ্বাস চলছে। নতুন আইনের ভিত্তিতে নাম নথিভুক্ত করার পোর্টালও খোলা রয়েছে। কিন্তু সিএএ-তে নাম নথিভুক্ত করার আবেদন কই! মতুয়া সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, পুরো আইনটি খতিয়ে দেখে, আবেদন নাকচ হলে তার ফলশ্রুতি কী হবে, তা জেনেই সদস্যদের আবেদন করতে বলা হবে। নতুন আইন চালুর পরেও ‘বিভ্রান্তি’ জিইয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গেরবিভিন্ন জেলায়।

Advertisement

‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ’-এর উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক বাবুলাল বালা বলেন, “কারা আবেদন করেছেন, সে তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। তবে আইন নিয়ে কোনও সংশয় নেই।” সিএএ তে ১-এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে বসবাসের পুরনো যে কোনও একটি নথি প্রয়োজন’। তা নিয়েই শুরু হয়েছে সংশয় এবং ভয়। সে নথি যদি গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে যায়, সে দুশ্চিন্তায় অনেকেই আবেদন করতে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি। আবার অনেকে দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে কোনও নথি নেই। সে ক্ষেত্রে তাঁদের নাগরিকত্বের কী হবে, সে প্রশ্ন উঠেছে।

যদিও বাবুলালের কথায়, “আমরা আইন এবং নির্দেশিকা ভাল ভাবে পড়ে দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের কোনও নথি যদি থাকে, তা হলে জমা দিতে হবে। এই ‘যদি’ কথাটি তাৎপর্যপূর্ণ। কোনও প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংগঠনের শংসাপত্র হলেও প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে, আমরা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ থেকে শংসাপত্র দেব,সেটিই স্বীকৃতি।”

শুক্রবারও জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ, ক্রান্তি-সহ কয়েকটি ব্লকে সিএএ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হয়েছে। তবে সিএএ পোর্টালে আবেদন করতে এখনও দ্বিধা রয়েছে মতুয়াদের একাংশের। মতুয়া সমাজ সংস্থার উত্তরবঙ্গের সচিব শম্ভুনাথ মিস্ত্রি বলেন, “সকলে ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন করবেন। কত জন আবেদন করবেন, আমাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই। কোনও সংশয় নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে এইআইন নয়।”

সিএএ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “মুখে যে যা-ই বলুন, সকলে ভয় পেয়েছেন বলেই আবেদন করেননি।”

বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর পাল্টা মন্তব্য, “তৃণমূল শুধু মিথ্যের রাজনীতি করে। মতুয়ারা দু’হাত তুলে নাগরিকত্ব আইনের জন্য আশীর্বাদ করছেন। এত দিনে ওপার বাংলায় অত্যাচারিত হয়ে এ দেশে আসা বাসিন্দাদের যন্ত্রণা ঘুচতে চলেছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement