Malda

যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আরজি করের ঘটনা ঘটবে! মালদহে হুমকি নির্যাতিতা বধূকে

হুমকি পেয়ে দমে না গিয়ে বরং আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই বধূ। যদিও এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও তদন্ত চলছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৭

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রথমে পারিবারিক বিবাদের জেরে বধূকে যৌন হেনস্থা। ঘটনার পর নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ফের বাড়িতে চড়াও হয়ে আরজি কর-কাণ্ডের ধাঁচে ধর্ষণ-খুনের হুমকি! এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচলে।

Advertisement

হুমকি পেয়ে দমে না গিয়ে বরং আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই বধূ। যদিও এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও তদন্ত চলছে।

নির্যাতিতা মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর আবর্জনা ফেলা নিয়ে জায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ বেঁধেছিল তাঁর। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। পর দিন রাত আটটা নাগাদ বাড়িতে একা ছিলেন ওই মহিলা। সেই সুযোগে বাড়িতে চড়াও হন তাঁর জায়ের বাবা এবং ভাই। শুরু হয় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে মহিলাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে যৌন হেনস্থা করেন তাঁরা। ঘটনার পরেই জা-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ।

শনিবার রাতে ফের মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় তিন দুষ্কৃতী। তাদের মুখে ছিল মাস্ক। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য মহিলাকে চাপ দিতে থাকে তারা। হুমকি দিয়ে বলা হয়, অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আরজি করের ঘটনা ঘটবে তাঁর সঙ্গেও। কোনও মতে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে প্রাণে বেঁচেছেন ওই বধূ। তবে তাঁদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ঘটনার পর রবিবার সকালে ফের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।

ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের ওই গ্রামে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement