Malda

মালদহে স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ! জেলাশাসকের নির্দেশে শুরু তদন্ত

ওই স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা ৩৭ জন। শিক্ষক মাত্র একজন। অসুস্থতার কারণে কিছু দিন স্কুলে যেতে পারছেন না ওই শিক্ষক। সেই সুযোগে তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়েন। তার পরই এই ঘটনা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
গাজল শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫১

টিফিনের সময় স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য মালদহের গাজলে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি জানান ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি গত ১৮ মার্চের। ওই স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা ৩৭ জন। শিক্ষক মাত্র একজন। অসুস্থতার কারণে কয়েক দিন ধরেই স্কুলে যেতে পারছেন না ওই শিক্ষক। ওই সুযোগে এলাকার তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়েন। এর পর এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, এমন ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ের এক বান্ধবী যুবকদের লালসার হাত থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে আমাকে খবর দেয়। আমি ছুটে গিয়ে দেখি স্কুলের দোতলার একটি ঘরে মেয়ে কাঁদছে। এর পর পাশের একটি প্রাথমিক স্কুলে যাই। কিন্তু সেখানকার শিক্ষকেরা বিষয়টিতে আমল দেননি। রবিবার ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’’

Advertisement

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মালদহের জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক যুবক নির্যাতিতার বান্ধবীর দাদা।

ওই স্কুলের শিক্ষক বলেন, ‘‘মিড ডে মিল থেকে যাতে পড়ুয়ারা বঞ্চিত না হয়, তাই পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষককে অনুরোধ করা হয়েছিল স্কুল খুলে রাখার জন্য। স্কুলের একটি ঘর খোলা ছিল। টিফিনের সময় ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে অভিযুক্তেরা স্কুলে ঢোকেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরের তালা ভেঙে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement