Pradhan Mantri Awas Yojana

বাড়ি তৈরির টাকা খরচে ব্লকে শিবির

পাশাপাশি, আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা কী ভাবে খরচ করতে হবে তার সুনির্দিষ্ট একটি গাইড লাইন রয়েছে। রয়েছে ঘরের মাপ থেকে শুরু করে নানা বিষয়।

Advertisement
জয়ন্ত সেন
মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কিছু উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে, কারও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার মুখে। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি বাবদ প্রাপ্ত ৬০ হাজার টাকা কী ভাবে খরচ করতে হবে, তা নিয়ে ব্লকে ব্লকে ‘ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প’ শুরু করল মালদহ জেলা প্রশাসন। গাজল ব্লক দিয়ে শুরু হল সেই শিবির এবং একই ভাবে জেলার বাকি ব্লকগুলিতেও সেই শিবির হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কিন্তু কেন এই শিবিরের প্রয়োজন পড়ল? প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার আবাস যোজনায় ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দিচ্ছে। কিন্তু বিগত দিনে আবাস যোজনায় টাকা পাঠানোর পরে খরচ করা নিয়ে নানা সমস্য দেখা গিয়েছে। যেমন, অনেক উপভোক্তাই বুঝতে পারেন না যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোন খাতের টাকা ঢুকল। বাড়ি তৈরি না করে কোনও সময় সেই টাকার একটা বড় অংশ তুলে তাঁরা অন্য কাজে ব্যবহারও করে দিয়েছেন বলে নজির রয়েছে। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।

পাশাপাশি, আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা কী ভাবে খরচ করতে হবে তার সুনির্দিষ্ট একটি গাইড লাইন রয়েছে। রয়েছে ঘরের মাপ থেকে শুরু করে নানা বিষয়। নিজের মর্জিতে কিছু করা যাবে না। এ সব বিষয় নিয়ে উপভোক্তাদের সম্যক ধারণা দিতেই ‘ওরিয়েন্টেশন’ শিবিরের ভাবনা। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “আবাস যোজনার উপভোক্তারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে তাঁরা যাতে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন মেনে বাড়ি তৈরি করতে পারে সেই ধারণা দিতেই ব্লকে ব্লকে শিবির করা হচ্ছে।”

মালদহ জেলায় আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকায় ৯৯,৬৮০ জন উপভোক্তা যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে জেলার ২৯,৭৮১ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। জেলার ১৫টি ব্লকের উপভোক্তাদেরই ‘ওরিয়েন্টেশন’ করা হবে। রবিবার এই কর্মসূচি শুরু হল গাজল ব্লক থেকে। আবাস যোজনার যোগ্যদের চূড়ান্ত তালিকা থেকে প্রথম ধাপে গাজল ব্লকে ১,৭৪৫ জন উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। তারমধ্যে ৩০০ জন উপভোক্তাকে এ দিন ব্লকের অন্নদাশঙ্কর ভবনে শিবিরে ডাকা হয়েছে। সেখানে তাঁদের হাতে অনুমোদন পত্রও তুলে দেওয়া হয়। বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, “প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাওয়ার পর কী ভাবে বাড়ি তৈরির জন্য তা খরচ করতে হবে সেটাই উপভোক্তাদের বোঝানো হয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন