Lotus farming

বৃষ্টির অভাব, পুজোর মুখে ব্যাহত পদ্ম-চাষ

করণদিঘির নাগরের বাসিন্দা পদ্ম চাষি উপেন বর্মণ, ধীরেন মণ্ডলেরা জানান, চৈত্র বৈশাখ মাস থেকে বীজ পোতা হয় পদ্মের। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয়ে যায়।

Advertisement
মেহেদি হেদায়েতুল্লা
ডালখোলা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

ডালখোলা: পুজোর মুখে অনাবৃষ্টির জন্য জেলার পদ্ম চাষিদের মাথায় হাত। ডালখোলার সূর্যাপুর ও করণদিঘির নাগর সংলগ্ন এলাকায় ফি বছর পুজোয় পদ্ম চাষ করে লাভবান হতেন চাষিরা। এই পদ্ম জেলার অন্যত্র যেত। কিন্ত এ বার পুজোর আনন্দ মলিন। ভাদ্র মাসের গরমের মধ্যে বৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলে পদ্ম চাষ কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় চাষিরা। এ বার বৃষ্টিপাত তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় এলাকার খাল বিল শুকিয়ে গিয়েছে। করণদিঘির নাগরের বাসিন্দা পদ্ম চাষি উপেন বর্মণ, ধীরেন মণ্ডলেরা জানান, চৈত্র বৈশাখ মাস থেকে বীজ পোতা হয় পদ্মের। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয়ে যায়। কিন্ত এ বারে ফুলের দেখা না পাওয়াটা চিন্তার। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি কিছুটা ফিরেছে। পদ্ম চাষ করে পুজোর বাজারে পরিবারের হাসিমুখ দেখতেন চাষিরা। এ বার বাদ সেধেছে প্রকৃতি। এলাকার পদ্ম চাষি সুনির্মল সিংহ বলেন, ‘‘এলাকায় পদ্মের চাহিদা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই চাষ করে লাভ হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভ হয় বলে এই চাষকে বেছে নিয়েছি। পুকুরে চাষ হয়। কোনও কোনও বছর জোগান দিতে হিমসিম খেতে হয়। পদ্ম ৬০০ টাকা হাজারে পাইকারি বিক্রি হয়। কিন্ত এ বারে আমরা দুশ্চিন্তায়। এখন ভরসা প্রকৃতি।’’ —নিজস্ব সংবাদদাতা

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement