River Erosion

ফের ভাঙন শুরু, আতঙ্কে বাসিন্দারা

বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এ ভাবে যদি ভাঙন চলে তবে এলাকার বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পাশাপাশি সেচ দফতরের ভাঙন প্রতিরোধের কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Advertisement
জয়ন্ত সেন
খাসপাড়া (মালদহ) শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৬
River Erosion at Malda

মালদহের খাসপাড়ায় ভাঙনে আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে গঙ্গাগর্ভে। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার জল বাড়তেই ভাঙন শুরু হল কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারদেওনাপুর-শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপাড়া এলাকায়। সেচ দফতরের তরফে, গত দু’বছর ধরে ওই পঞ্চায়েতের গোলাপমণ্ডল পাড়ার যে অংশ থেকে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছিল, তারই উজানে থাকা খাসপাড়ায় রবিবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে প্রায় দেড়শো মিটার অংশ জুড়ে ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীনও হয়েছে, দাবি স্থানীয়দের। সেচ দফতর সূত্রে খবর, খাসপাড়ার ওই অংশে গঙ্গা ভাঙন ঠেকাতে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি ভাঙন প্রতিরোধের কাজের পরিকল্পনা দফতরের রাজ্যস্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনাটি অনুমোদিত না হওয়ায় সেখানে কাজ শুরু করা যায়নি।

Advertisement

মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের কাছে খোঁজ নিচ্ছি।”

বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এ ভাবে যদি ভাঙন চলে তবে এলাকার বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পাশাপাশি সেচ দফতরের ভাঙন প্রতিরোধের কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন সকাল থেকে ওই ভাঙনে বেশ কিছু আবাদি জমি গঙ্গা নদীতে তলিয়ে গেছে। পাশেই রয়েছে প্রচুর পাট খেত। ভাঙনের জেরে সেই পাট চাষিরা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁরা জানান, এ ভাবে যদি গঙ্গা ভাঙন চলে ও ভাঙন ঠেকাতে কোনও উদ্যোগ না নেওয়া হয় তবে বিপাকে পড়তে হবে, সমস্ত আবাদি জমিই নদীগর্ভে চলে যাবে। এ দিকে গোলাপমণ্ডল পাড়ায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজের ঠিক উজানেই ভাঙন শুরু হওয়ায় ওই কাজ টিকে থাকবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত সেচ দফতরের কর্তারা।

সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভাঙন চলতে থাকলে পুরনো যে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে, তা টিকিয়ে রাখা মুশকিল হতে পারে।” সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ভাঙন প্রতিরোধের ব্যাপারে দফতরের বাস্তুকারদের সঙ্গে কথা বলছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement