KLO member arrested

কেএলও প্রধান জীবন সিংহ-ঘনিষ্ঠ তাপস রায়কে গ্রেফতার করল এসটিএফ

বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্য এসটিএফের নজরে ছিলেন তাপস রায়। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় শিলিগুড়িতে এসটিএফের দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়তেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০১
Screen Grab

জীবন-ঘনিষ্ঠ তাপসকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

এসটিএফের বড় সাফল্য। গ্রেফতার কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ঘনিষ্ঠ তাপস রায়। আদতে অসমের বাসিন্দা তাপস কেএলও-র হয়ে টাকা তোলার কাজ করছিলেন। তাঁকে বেশ কিছু দিন ধরেই নজরে রাখছিল এসটিএফ। শুক্রবার তাঁকে শিলিগুড়িতে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে কেএলও জঙ্গী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য তাপস রায়কে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এ দিনই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এ বিষয়ে এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একদা জীবন সিংহ ঘনিষ্ঠ তাপস রায় নাগাল্যান্ড পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন। পরবর্তীতে ধৃতকে অসম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। জেল হেফাজত কাটিয়ে আবার জঙ্গি সংগঠনের কাজ শুরু করেন তাপস। বিভিন্ন জায়গায় টাকা পয়সা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন। তখন থেকেই এসটিএফের নজর ছিল ওঁর উপর। সম্প্রতি তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। সেই নোটিসে সাড়া দিয়েই শুক্রবার এসটিএফ অফিসে পৌঁছন তাপস। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।’’

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বাসিন্দা জীবন সিংহ ১৯৮৮ সাল থেকে কেএলও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কয়েক বছরের মধ্যেই সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হয়ে ওঠেন তিনি। বেশ কয়েক বছর আগে ভুটানে সেনা অভিযানে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে কার্যত ভেঙে পড়ে সংগঠনটি। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেন জঙ্গিরা। কিন্তু জীবন সিংহের নাগাল মেলেনি। এ বার জীবন ঘনিষ্ঠ এক কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

আরও পড়ুন
Advertisement