Ayodhya Ram Mandir Inauguration

দেড় হাজার বুথ এলাকায় মন্দিরে মন্দিরে পুজোর নির্দেশ

বিজেপি সূত্রের দাবি, পুরো পরিকল্পনাই ছকে দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। সঙ্ঘ মনে করছে, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে ‘আবেগ’ তৈরি হয়েছে।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৪:৫০
রাম মন্দির উদ্বোধনের উপলক্ষে শিলিগুড়ি বাড়ি বাড়ি ছাদের উপর রামের পতাকা লাগিয়ে সেজেছে শহর।

রাম মন্দির উদ্বোধনের উপলক্ষে শিলিগুড়ি বাড়ি বাড়ি ছাদের উপর রামের পতাকা লাগিয়ে সেজেছে শহর। ছবিঃ বিনোদ দাস।

Advertisement

জেলার ১৫০০টি বুথের কোন কোন মন্দিরে কোন কোন কার্যকর্তা থাকবেন, সেই তালিকা তৈরি করে তার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। দলের ব্যানার বা পতাকা থাকবে না। বিজেপির নেতা-কর্মীদের নির্দেশ, বুথের অন্তত একটি হলেও মন্দিরে পুজোর আয়োজন করতে হবে, প্রসাদ বিলি করতে হবে, সকাল অথবা সন্ধেয় ‘নগরকীতর্ন’ করতে হবে। এই তিনটির কোনওটিই সম্ভব না হলে বুথের অন্তত ৫০টি বাড়িতে যাতে প্রদীপ জ্বলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলার বুথের সংখ্যা ২০৮০টি। সব বুথে বিজেপি এই কর্মসূচি পালন করতে পারবে না, তা দলের রিপোর্টে পরিষ্কার। দলের তরফে যে তালিকা করা হয়েছে, যেখানে কোনও না কোনও মন্দিরে জেলা বা মণ্ডল কমিটির কোনও সদস্য থাকবেন তাতে প্রায় ১৫০০ বুথের উল্লেখ রয়েছে। সেই তালিকা ধরে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোন নেতা বা পদাধিকারী অথবা জেলা বা মণ্ডল কমিটির সদস্য কোন মন্দিরে থাকবেন তা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিজেপি সূত্রের দাবি, পুরো পরিকল্পনাই ছকে দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। সঙ্ঘ মনে করছে, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে ‘আবেগ’ তৈরি হয়েছে। সেই আবেগকে কৌশলে ভোটবাক্সে নিয়ে যেতে হলে পাড়ায় পাডায় উৎসবেও বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। সে কারণেই
পেশাদারি কায়দায় তৈরি হয়েছে মন্দির এবং বিজেপি নেতাদের উপস্থিতির তালিকা।

জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলের অপপ্রচার। রাজনৈতিক ভাবে নয় যে কেউ যে কোনও মন্দিরে বা উৎসবে ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে শামিল হতেই পারে।” বিজেপি সূত্রের দাবি, বেশ কিছু মন্দিরে বিশেষ রামপুজো করতে গিয়ে আপত্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে। অনেক মন্দির কমিটি রাজনীতির ছোঁয়া চান না বলে বিশেষ পুজোর অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। যেমন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পোড়াপাড়া রাসের মাঠ, বামনপাড়া, ময়নাগুড়ি এবং রাজগঞ্জের কিছু মন্দির।

রবিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরে দেদার গেরুয়া পতাকা থেকে শুরু করে রাম মন্দিরের ছবি-সহ গেরুয়া কাপড় বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। বহু মন্দিরে ছিল সাজো সাজো চেহারা। জলপাইগুড়ি দিনবাজারে গেরুয়া পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

অন্য দিকে, তৃণমূলের তরফে সংহতি যাত্রা নিয়েও প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ, সোমবার বিকেল ৩টেয় সমাজপাড়া থেকে সংহতি যাত্রা শুরু হবে। মিছিলের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মের গুরুরা থাকবেন। শহরের মূল পথগুলিতে হাঁটবে মিছিল। মিছিলের শেষে পথসভাও হবে। সেখানে ধর্মগুরুদের বক্তব্য রাখার কথা। মিছিলে ভিড় জড়ো করতে মরিয়া তৃণমূলও। মিছিলে উপস্থিত থাকবে তৃণমূলের সব শাখা সংগঠন এবং প্রভাবিত সংগঠনগুলিকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আইন সেলের তরফে সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশে দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মিছিলটি ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ’। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “আমরা ধর্মকে রাজনীতিতে আনার বিপক্ষে। আমাদের সংহতি মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাধারণ বাসিন্দারা যোগ দেবেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement