রাজ্যে সপ্তম অঙ্কিতা, নবম প্রীতম্বর
Higher Secondary Exam 2024

আইএএসের স্বপ্ন পূরণে প্রস্তুত অঙ্কিতা, প্রীতম্বর

অঙ্কিতা বংশীহারি হাই স্কুল থেকে ২০২২ সালের মাধ্যমিকে ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম হন। অঙ্কিতা জানান, কোনও দিনও তিনি ঘড়ি ধরে পড়েননি।

Advertisement
গৌর আচার্য  , বিকাশ সাহা 
রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৮:৫৩
অঙ্কিতা সরকার (উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম, কপি গিয়েছে)

অঙ্কিতা সরকার (উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম, কপি গিয়েছে)

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে সপ্তম স্থান দখল করলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী অঙ্কিতা সরকার। অন্য দিকে, এই জেলারই কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর নন্দকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র প্রীতম্বর বর্মণ উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান দখল করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।

Advertisement

অঙ্কিতার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার শ্যামপুরে। তিনি রায়গঞ্জের উকিলপাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ওই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। অঙ্কিতা ৪৯০ পেয়েছেন। তিনি বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ৯৭, ভূগোলে ৯৭, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৮ ও অর্থনীতিতে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন। অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে ইতিহাসে ৯১ পেয়েছেন। তাঁর বাবা সুকুমার বাড়ির সামনে সারের দোকান চালান। মা প্রসাদী পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।

অঙ্কিতা বংশীহারি হাই স্কুল থেকে ২০২২ সালের মাধ্যমিকে ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম হন। অঙ্কিতা জানান, কোনও দিনও তিনি ঘড়ি ধরে পড়েননি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়তে চান তিনি। ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তাঁর। অঙ্কিতা বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সমস্ত বিষয় গৃহশিক্ষকদের কাছে পড়তাম। তাঁদের ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সহযোগিতা ছাড়া এত ভাল ফল করতে পারতাম না।’’ করোনেশন হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় মিত্রের বক্তব্য, ‘‘অঙ্কিতা মেধা তালিকার আরও উপরের দিকে থাকবে বলে আশা করেছিলাম।’’

প্রীতম্বরের বাবা উত্তম বর্মণ নেপালে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা তরুলতা পেশায় শ্রমিক। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৮ পেয়েছেন। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ৯৩, শিক্ষাবিজ্ঞানে ৯৮, ভূগোলে ৯৮ ও দর্শনে ৯৯ পেয়েছেন। অতিরিক্ত বিষয় সংস্কৃতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৮১। দুঃস্থ পরিবারের ছেলে প্রীতম্বরের এত ভাল ফলে খুশি তাঁর স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। প্রীতম্বর জানিয়েছেন, তাঁরও ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তাঁর। প্রীতম্বর বলেন, ‘‘আপাতত ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করব। ভবিষ্যতে সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা না পেলে স্বপ্ন পূরণ হবে কি না, সেই প্রশ্নে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’’ তরুলতার বক্তব্য, ‘‘স্বামীর পরিযায়ী শ্রমিকের রোজগার আর আমার কাজের মজুরির টাকা দিয়ে সংসার ও দুই মেয়ে, এক ছেলের পড়ার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। টাকার অভাবে ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সব বিষয়ে প্রাইভেট টিউশনও দিতে পারিনি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement