নিজস্ব চিত্র
শনিবার চতুর্থ দিনে পা দিয়েছে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় বিমল গুরুংয়ের আমরণ অনশন। এ দিকে, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরেও রাজ্য প্রশাসনের তরফে গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার দাবিদাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি। এ নিয়ে জল্পনার মাঝেই অনশন মঞ্চে গিয়ে বিমলের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। মোর্চা প্রধানকে অনশন ভাঙার অনুরোধও করলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাদী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। যদিও বিমল জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বুলুচিকের অনুরোধ রাখতে পারবেন না।
পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করেই যাতে জিটিএ ভোট হয়, এই দাবিতে গত বুধবার অনশনে বসেছেন বিমল। কিন্তু জনসমর্থনের দেখা মিলল না। এই পরিস্থিতিতে বিমলকে অনশন ভাঙার অনুরোধ করেছে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি। মোর্চার তরফে নির্বাচনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদিও তা নিয়ে রাজ্যের সরকারের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তার পরেই শনিবার বিমল সাক্ষাতে গেলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী।
জলপাইগুড়ির মাল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বুলুচিক অবশ্য বলছেন, ‘‘আমি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনশন মঞ্চে আসিনি। বিমলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পুরনো। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাত-দিন এক করে আমার জন্য কাজ করেছে বিমল। ওঁর সঙ্গে আমার এক প্রকার পারিবারিক সম্পর্ক। সেই জায়গা থেকেই দেখা করতে আসা। ওঁকে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছি।’’ এরই পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘‘বিমলের যা যা দাবিদাওয়া আছে, তা নিয়ে সঠিক জায়গায় কথা বলব। যে হেতু এখন নির্বাচনী বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে, তাই তা নিয়ে সরকারের পক্ষে এখনই কথা বলা সম্ভব না। নির্বাচনের পর এই বিষয় নিয়ে কথা বলব।’’
রাজ্যের মন্ত্রীর তরফে এই বার্তার পর পর বিমলও জানিয়ে দিয়েছেন, যত ক্ষণ না কোনও সরকারি চিঠি বা রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিক তাঁর সঙ্গে এসে কথা বলছেন, তত ক্ষণ অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি।
বচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।