Govt office beaten

বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত গঙ্গারামপুরের আধিকারিক, মারধর, কাড়া হল মোবাইল

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পুনর্ভবা নদী থেকে নিয়মিত বালি চুরি করছে। বিজেপির দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ২০:৩০
বালি চুরি রুখতে গিয়ে নিগৃহীত সরকারি আধিকারিক।

বালি চুরি রুখতে গিয়ে নিগৃহীত সরকারি আধিকারিক। — নিজস্ব চিত্র।

বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত সরকারি আধিকারিক। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরের। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনায় জড়িত তৃণমূল আশ্রিত বালি মাফিয়ারা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরেই গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বানগড় ও নায়ারাণপুর থেকে নদীর বালি তুলে পাচার করছিল বালি মাফিয়ারা। এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে বানগড়ে অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্র্যাক্টর এবং দু’টি বাইক আটক করে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে শনিবারও গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন ভূমি দফতরের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, অভিযান চলাকালীন ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়। মারধর করে কেড়ে নেওয়া হয় আধিকারিকদের মোবাইল। কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা, বলে দাবি সরকারি আধিকারিকদের। ঘটনার পরে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান আক্রান্ত সরকারি আধিকারিকেরা।

হেনস্থার মুখে পড়া রাজস্ব আধিকারিক নসিবুল মণ্ডল বলেন, ‘‘পুনর্ভবা নদীর বুকে বালি চুরি ধরতে গিয়েছিলাম। ভেজা বালি-সহ একটি গাড়ি আটক করি। আমরা ধরতে যেতেই আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তার পর স্থানীয় লোকেদের সহায়তায় গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভোটের জন্য থানা থেকে ফোর্স দিতে পারেনি। তাই আমরা একাই বেরিয়ে যাই। এফআইআর দায়ের করছি।’’

এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তৃণমূল এবং প্রশাসন। পুনর্ভবা নদী থেকে বালি পাচার বন্ধ না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

বিজেপির তোলা অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ‘‘তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, বালি চুরি করতে যাবে! যারা এই কাজ করেছে, তারা অন্যায় করেছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, তারা যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কোথাও কিছু ঘটলেই, তৃণমূল করেছে বলা বিজেপির কাজ। নির্দিষ্ট নাম দিয়ে জানাক বিজেপি, আমি দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement