Sikkim Flood

‘দুর্ঘটনা নিতান্ত কাকতালীয় নয়’, দার্জিলিং পাহাড়ে তিস্তার তাণ্ডব ঘুরে দেখে বললেন রাজ্যপাল বোস

একই দিনে উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব কোথায় কোথায় যেতে হবে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১০:২৩
Screen Grab

দার্জিলিং পাহাড়ে তিস্তার তাণ্ডবের ছবি দেখছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। — নিজস্ব চিত্র।

দার্জিলিং পাহাড়ে তিস্তা নদীর তাণ্ডবের চিত্র সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ধ্বংসলীলা দেখার পর রাজ্যপালের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘দুর্ঘটনা নিতান্ত কাকতালীয় নয়।’’ উন্নয়নের নামে নির্বিচারে প্রকৃতি নিধন নিয়েও নিজের মত ব্যক্ত করেছেন রাজভবনের বাসিন্দা। বিপর্যয়ের পর বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিং পাহাড়ে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিস্তার তাণ্ডবের ছবি খতিয়ে দেখার পর দুপুরে আবার কলকাতা ফেরার কথা রয়েছে রাজ্যপালের। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে বৃহস্পতিবারই লক্ষাধিক মানুষকে নিয়ে কলকাতায় রাজভবন অভিযান করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনিও বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখবেন।

Advertisement
Image of Governor CV Ananda Bose visiting land slide areas

কালিঝোরায় ধসবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যপাল। — নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যপাল বাগডোগরায় বিমান থেকে নেমে চলে যান শিলিগুড়ির স্টেট সার্কিট হাউসে। সেখান থেকে তাঁর কনভয় বেরিয়ে সোজা পাহাড়ে উঠে যায়। বর্তমানে তিনি দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তায় বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখছেন। শ্বেতিঝোরা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, পাহাড়ের পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপালের কনভয় যাবে জলপাইগুড়ির দিকে। সেখান থেকে ফিরে শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রাজ্যপালের। এই প্রতিবেদন লেখার সময় জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কনভয় কালিঝোরা পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ধসের জেরে সামনের রাস্তা ঠিক নেই বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলায় আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি, দুর্ঘটনা নিতান্তই কাকতালীয় নয়। সবচেয়ে বড় কারণ হল, আমরা প্রকৃতির উপর লাগাতার আক্রমণ নামিয়ে আনছি। উন্নয়নের নামে বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছি। প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং কতটা উন্নয়ন প্রয়োজন তার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান হল প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়া।’’ পাশাপাশি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, ত্রাণশিবিরে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তাঁদের কাছেই রাজ্যপাল প্রশ্ন রাখতে চান, এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়াতে কী কী করা যেতে পারে।

অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে বাগডোগরায় নেমে পড়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করব৷ তার পর সিদ্ধান্ত নেব কোথায় কোথায় যেতে হবে। কোথাকার পরিস্থিতি কী, আমরা কত দূর কী করতে পারব, সে সব নিয়েই আলোচনা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement