North Bengal Medical College

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ‘হুমকি-সংস্কৃতি’ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তনীরাও, উষ্মা তদন্ত কমিটি নিয়ে

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শোরগোলের আবহে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একাধিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করছে অধ্যক্ষের গড়া পাঁচ সদস্যের কমিটি। এই তদন্ত কমিটি নিয়ে অবশ্য খুশি নন প্রাক্তনীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২২

—নিজস্ব চিত্র।

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শোরগোলের আবহে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একাধিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করছে অধ্যক্ষের গড়া পাঁচ সদস্যের কমিটি। এই তদন্ত কমিটি নিয়ে অবশ্য খুশি নন প্রাক্তনীরা। তাঁদের মত, শুধু হাসপাতালের ডিনের পদত্যাগে কিছু যাবে-আসবে না। সঠিক তদন্তের জন্য ‘দুর্নীতি-চক্রের’ মাথাদের পদত্যাগ করতে হবে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি ও শাসানির সংস্কৃতি’ (থ্রেট কালচার)-কে মদত দেওয়া, পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো, পাশ করাতে টাকা নেওয়ার মতো অনিয়মে আন্দোলন করেন পড়ুয়াদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ তাঁদের পাশে ছিলেন। পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়ে ডিন (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং সহকারী ডিন সুদীপ্ত শীল ইস্তফা দেন। দাবি উঠেছিল অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার ইস্তফারও। পড়ুয়াদের সেই সব অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করেছেন অধ্যক্ষ। তার মাথায় রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল সঞ্জয় মল্লিক। এ ছাড়া অন্য একাধিক বিভাগের প্রধানেরা রয়েছেন কমিটিতে। তবে কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ কতটা করতে পারবে, তা নিয়েও চিকিৎসকদের একাংশের ধন্দ রয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অনেক বিভাগীয় প্রধান কলেজের পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর ‘দুর্নীতিতে’ যুক্ত।

একই মত প্রাক্তনীদের। রবিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। প্রাক্তনী ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘যে সব অভিযোগ উঠছে, তার যদি সঠিক তদন্ত করতে হয়, তা হলে সমস্ত পদাধিকারীদের পদত্যাগ করতে হবে। তার পর স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত। শুধুমাত্র ডিন বা প্রিন্সিপাল বলে নয়, গোটা চক্রের মাথাদের সরিয়ে এই তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। আমরা অসুস্থ ডাক্তার চাই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement