একশৃঙ্গ গন্ডার। —ফাইল চিত্র।
উত্তরের বনাঞ্চলে একশৃঙ্গ গন্ডার গুনবে বন দফতর। বিরলতর এই প্রাণীটি জলদাপাড়া এবং গরুমারার জঙ্গলে দেখা যায়। বছর দু’য়েক আগে সুমারিতে জলদাপাড়ায় পৌনে তিন’শ এবং গরুমারার জঙ্গলে ৬০টি একশৃঙ্গ গন্ডারের উল্লেখ করা হয়েছিল। গত দু’বছরে গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে বলেই অনুমান বন দফতরের। যদিও গন্ডারের সংখ্যা বাড়লেও প্রাণীদের পছন্দের খাবারের সংস্থান জঙ্গলে বাড়েনি বলেই আশঙ্কা। এ বার গন্ডার গণনার সঙ্গে তাদের পছন্দের খাবারের ভান্ডার কতটা রয়েছে তা-ও যাচাই করে দেখবে বন দফতর। উত্তরের বনাঞ্চলে হাতির সংখ্যা বেড়েছে। তৃণভোজী প্রাণীদের সংখ্যাও বেড়েছে। এ দিকে, জঙ্গলের আয়তন প্রতি বছরই কমছে। জঙ্গলের খাদ্যসঙ্কট নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বন দফতর। সে কারণেই গন্ডার গণনার সঙ্গে-সঙ্গে তাদের খাদ্যের জোগানের খবরও রাখতে চাইছে বন দফতর।
জলদাপাড়ার জঙ্গলে সাফারিতে গন্ডারের দেখা মেলে আকছার। মাদারিহাট লজ থেকে হলং বাংলো যাওয়ার পথে, গন্ডারের দেখা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। গত দু’বছরে গণনা না হলেও প্রাথমিক আন্দাজ জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। সঙ্গিনী দখলের লড়াইের খবরও ইতিউতি পেয়ে থাকেন বনকর্মীরা। গন্ডার সুমারি হলে নারী-পুরুষ অনুপাতও জানা যাবে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) জেভি ভাস্কর বলেন, “গন্ডারের সংখ্যা, গন্ডারের খাদ্য ভান্ডার এবং বাসস্থানও যাচাই করে দেখা হবে।”
উত্তরবঙ্গে ক্রমাগত গন্ডারের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রাণীদের উপযুক্ত নতুন আবাস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বপন দফতরের। গন্ডার মূলত ঘাসজমিতে থাকতে ভালবাসে। একশৃঙ্গ গন্ডার বিরলতর হওয়ায় বন দফতর এই প্রাণীর নজরদারির জন্য পৃথক ব্যবস্থা করেছে। আগামী মাস থেকে গন্ডার গণনার সমীক্ষা হবে। তিন থেকে চার দিন উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে গন্ডার গোনা হতে পারে।
গন্ডারের সঙ্গে রেড পান্ডারও গণনা হবে। দার্জিলিঙের সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান এবং নেওড়াভ্যালির বনাঞ্চলে রেডপান্ডা গোনা হবে। রেডপান্ডা গুনতে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। বনকর্মী এবং পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির প্রশিক্ষিত প্রতিনিধিরা যৌথ ভাবে সমীক্ষা চালাবেন।