আমরা
বাড়ি বা অফিসে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যতটা মাথা ঘামাই,
জিমের
ক্ষেত্রে ততটা নয়। কিন্তু সেখানেও হাইজিন বজায় রাখা জরুরি। সারা দিন বিভিন্ন
ব্যক্তি ওই ফ্লোরেই ঘাম ঝরাচ্ছেন। জিমে পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে অসুস্থ হওয়া খুব
স্বাভাবিক। হতে পারে বিভিন্ন ইনফেকশনও।
শীত ঠিক
মতো পড়েনি এখনও। কিন্তু সর্দিকাশির সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জিম
থেকে রোগের জীবাণু আপনার শরীরে আসতেই পারে। এ ছাড়া জিমে পরিচ্ছন্নতা বজায় না
রাখার জন্য অনেকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনেও ভোগেন।
জেনে নিন
কী ভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন—
- অসুস্থতা নিয়ে এক্সারসাইজ়ে যাবেন না। সর্দিকাশি নিয়ে জিমে গেলে আপনার কাছ
থেকে যেমন অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারেন, তেমনই আপনার অসুস্থতাও বেড়ে যেতে পারে।
- নিজস্ব এক্সারসাইজ় ম্যাট ব্যবহার করুন।
- জিমের ম্যাট ব্যবহার করলে তার উপরে
তোয়ালে পেতে নিন। জিমের বেঞ্চ ব্যবহার করার সময়েও তাই করুন।
- ডাম্বেল বা বারবেল ব্যবহারের সময়ে
স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করে নিতে পারেন।
- অন্যের গ্লাভস বা রিস্টব্যান্ড ব্যবহার
করবেন না। ব্যক্তিগত রেজ়িসট্যান্স ব্যান্ড নিয়ে যান।
- জিম থেকে অনেক সময়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়।
ঘাম জমা জিনিস পরিষ্কার না করার জন্যই এটা হয়ে থাকে। এক পোশাক জিমে দু’দিন
পরা যাবে না।
- গ্লাভসে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করে খোলা
হাওয়ায় রাখতে হবে নিয়মিত। জিমের জুতো একেবারেই ব্যাগবন্দি করে রাখবেন না।
বাইরে খোলা হওয়ায় রাখুন। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করুন। জুতো এবং মোজা পরিষ্কার না
করার ফলেই পায়ের আঙুলে ফাঙ্গাস ইনফেকশন হয়।
- স্টিম বাথ নেওয়ার সময়ে নিজের তোয়ালে
ব্যবহার করুন।
- জিম থেকে ফিরে ভাল ভাবে স্নান করা খুব
জরুরি।
পরিচ্ছন্নতার
দায় জিম কর্তৃপক্ষের উপরেও বর্তায়। খেয়াল রাখুন মেশিন, ডাম্বেল,
কেটলবেল নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)