Siliguri Jalpaiguri Development Authority

বোর্ড মিটিং বন্ধ, ‘থমকে’ উন্নয়ন

শিলিগুড়ি শহরে অন্যতম বাজার বিধান মার্কেট এসজেডিএ’র অধীনে। সেখানকার ব্যসায়ীদের মালিকানা নিয়ে কর্তৃপক্ষ পুর দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল।

Advertisement
সৌমিত্র কুন্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।

শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। —ছবি : সংগৃহীত

শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) বোর্ড মিটিং গত ফেব্রুয়ারির পর আর হয়নি। শেষ বৈঠকে যে সমস্ত কাজের পরিকল্পনা হয়েছিল বা যে সব বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছিল সেগুলো কত দূর কী হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গত জুন মাসে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে পুরনো বোর্ড ভেঙে গিয়েছে কি না তা নিয়েও পরিষ্কার কিছু বুঝতে পারছেন না বোর্ড সদস্যরা। তাতে ভবিষ্যতে এসজেডিএ’র কাজকর্ম কী হতে চলেছে তাও পরিষ্কার নয়। জেলাশাসককে ফোন করা হলে সংযোগ করা যায়নি। মেসেজ করা হলে তিনি এ নিয়ে কিছু বলেননি।

Advertisement

শিলিগুড়ি শহরে অন্যতম বাজার বিধান মার্কেট এসজেডিএ’র অধীনে। সেখানকার ব্যসায়ীদের মালিকানা নিয়ে কর্তৃপক্ষ পুর দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল। শেষ বোর্ড সভায় নেওয়া ৭০টি কাজের প্রস্তাবের মধ্যে ৩০টি অনুমোদন করেছিল পুর দফতর। সেই সমস্ত কাজের অগ্রগতি নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এসজেডিএ’র মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক অর্চনা ওয়াংখেড়ে বলেন, ‘‘আমি দুই মাস এখানে যোগ দিয়েছি। বেশ কিছু উন্নয়ন কাজের প্রক্রিয়া চলছে।’’ এক দশক আগে এসজেডিএ’র কাজে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে। সেই সময়ও কাজের প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। পরবর্তীতে ফের উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা কিছু হতে শুরু করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের উন্নয়নের কাজ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ বোর্ডসভায় যে সমস্ত কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুই পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা, পথবাতি, হাইমাস্ট বসানোর কাজ রয়েছে।

শিলিগুড়িতে পঞ্চনই নদীতে মাটিগাড়া এলাকায় একটি সেতু তৈরির কাজ রয়েছে। মাল্লাগুড়ি থেকে জলপাই মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি মডেল রোড করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এসজেডিএ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি উন্নয়ন কাজ রয়েছে। সে সব কাজ কতটা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আগের চেয়ারম্যান সৌরভ-ও। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের দাবি মেনে পরিকল্পনাগুলো নেওয়া হয়েছিল। আমি দায়িত্বে না থাকলেও সেগুলো কত দূর হল তা দেখতে হবে। খোঁজ নেব।’’ শিলিগুড়িতে আইটি পার্ক-সহ নানা প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে ওঠেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ড সদস্যদের কয়েকজন বলেন, ‘‘পুরনো বোর্ড ভেঙে গেল, কি আছে তা বুঝতে পারছি না। জেলাশাসক চেয়ারম্যান পদে বসার পর এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন