Jalpaiguri

ভোজের আয়োজনে বাজারে জমল ভিড়

সোমবার চৈত্র সংক্রান্তিতে নিরামিষ পদ হবে অধিকাংশ গৃহস্থ বাড়িতেই। মঙ্গলবার নববর্ষ।

Advertisement
অভিষেক সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৫
জলপাইগুড়ির মাছের বাজারে। রবিবার।

জলপাইগুড়ির মাছের বাজারে। রবিবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

নববর্ষের আগে রবিবার জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে ভিড় জমল ক্রেতাদের। পয়েলা বৈশাখে মাছ-মাংসের দাম বাড়তে পারে বলে ভাবনা ক্রেতাদের একাংশের। তাই, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই আগেভাগে নববর্ষের বাজার সেরে রাখলেন অনেকে।

Advertisement

সোমবার চৈত্র সংক্রান্তিতে নিরামিষ পদ হবে অধিকাংশ গৃহস্থ বাড়িতেই। মঙ্গলবার নববর্ষ। ওই দিন একাধিক আমিষ পদ সহযোগে হবে ভুরিভোজ। প্রতি বারেই নববর্ষের সকালে বাজারে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এ বারে নববর্ষ, চৈত্র সংক্রান্তির আগে শেষ রবিবারে সাপ্তাহিক বাজারের পাশাপাশি নববর্ষের রসনাতৃপ্তির যাবতীয় আয়োজন সেরে ফেলতে দেখা গেল শহরবাসীর একাংশকে।

এ দিন সকাল থেকেই দিনবাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে মাছ, মাংসের দোকানগুলিতে অন্য রবিবারের তুলনায় এ দিন ভিড় তুলনামূলক ভাবে বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই চিত্র দেখা গিয়েছে ইন্দিরা কলোনি ও বয়েলখানা বাজারেও। এ দিন শহরের বাজারগুলিতে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২০০-২১০ টাকায়। দেশি মুরগি গোটা ৫০০ টাকা। কাতলার কেজি ২০০-২৫০ টাকা, পাবদা আকার ভেদে ৩০০-৪০০ টাকা ও চিংড়ির দাম ঘোরাফেরা করে ৩৫০-৫০০ টাকার মধ্যে। অসময়ের ইলিশও দেখা গেল দিনবাজারে। বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হল ১২০০-১৪০০ টাকা দরে। তুলনামূলক ছোট আকারের ইলিশের দাম ঘোরাফেরা করল ৬০০-৭০০ টাকার মধ্যে।

দিনবাজারের মাছ ব্যবসায়ী দিলীপ গুপ্ত বলেন, ‘‘দাম এখনও নাগালের মধ্যেই রয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় এ দিন মাছের বিক্রি ভাল হয়েছে।’’ পাঁঠা-খাসির মাংসের দাম বাড়েনি রবিবার। খাসির মাংস দোকানভেদে ৮০০-৮৫০ টাকা, পাঁঠা ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হল।

আনাজের বাজারেও এ দিন ক্রেতাদের ভিড় ছিল। আলু রকমভেদে ২০-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা, টম্যাটো ১০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হল শহরের বাজারে। লাউ ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, এঁচোড় ৫০ টাকা, কাঁচা আম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আনাজ বিক্রেতা সুবোধ দাস বলেন, ‘‘দু-একটি আনাজের দাম একটু বেড়েছে। নববর্ষের দিনে দামে একটু-আধটু হেরফের হতে পারে।’’ এক ক্রেতা বলেন, ‘‘প্রতি বারেই নববর্ষের দিন বাজারে আনাজ-সহ মাছ, মাংসের দাম বাড়ে। সে জন্য এক দিন আগেই বাজার সেরে রাখলাম বাড়তি খরচ বাঁচাতে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন