জলের দাবিতে দিনহাটার আমবাড়িতে পথ-অবরোধ। ছবি: সুমন মণ্ডল।
গত ছ’মাস যাবত এলাকায় বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ। জল পড়ে না রাস্তার কল থেকেও। গরমের শুরুতেই জল-সঙ্কটে জেরবার দিনহাটার আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় মহিলারা। সেই সময়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ক্ষোভ সামাল দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে হয় তাঁকেও। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে ফোন করে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর নির্দেশের পরে জল সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হয় এলাকায়। ওঠে অবরোধ।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অবরোধস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলি। সেখান থেকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিককে বিষয়টি জানাই। এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। তার আগেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, জলের এই সমস্যা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা পাননি তাঁরা। বৃহস্পতিবার বেলা দশটা নাগাদ বালতি, গামলা নিয়ে দিনহাটা- চৌধুরীহাট রাজ্য সড়কের আমবাড়ি এলাকায় পথ অবরোধ করেন মহিলারা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। অবরোধ চলাকালীন ওই পথ দিয়ে বামনহাটের দিকে যাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ । মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে মহিলারা তাঁকে সমস্যার কথা জানান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে ঘটনাস্থল যান এবং সেখান থেকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা বলেন। বেলা বারোটার মধ্যে জলের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রীর আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। বেলা ১২টার মধ্যে এলাকায় জল সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
দিনহাটা ১ ব্লকের আমবাড়ি ও আশপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প চালু রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ছ’মাস ধরে জল আসছে না। আন্দোলনকারী সুমিত্রা শর্মা বলেছেন, ‘‘এত গরমে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ। রাস্তার কলগুলি থেকেও জল পড়ছে না। বাধ্য হয়ে এ দিন আমরা পথ অবরোধ করি। মন্ত্রীর আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিয়েছি।’’ তাঁরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে জল সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগজ়িকিউটিভ অফিসার সুব্রত ধরের বক্তব্য, ‘‘আমবাড়ি এলাকায় জলের সমস্যার কথা জানতাম না। বিষয়টি জানতে পেরেই কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’’