Islampur

‘পরকীয়ার শাস্তি’, যুগলের হাত-পা বেঁধে মাথা মুড়িয়ে ভিডিয়ো হল ইসলামপুরে! ছুটল পুলিশ

মাত্র দুই আগে পরকীয়ার ‘শাস্তি’ হিসাবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রাস্তায় যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিলেন কয়েক জন। সে বারও ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৮
পরকীয়ার শাস্তি!

পরকীয়ার শাস্তি! ছবি: সংগৃহীত।

আবার সালিশি সভায় শাস্তিবিধান। আবারও এক যুগলের মাথা মুড়িয়ে ঘোরানো হল পাড়া। দু’মাসের মধ্যে আবার ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। এ বার ইসলামপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরকীয়া করছেন দুই যুবক-যুবতী, এই দাবি করে তাঁদের নিয়ে সালিশি সভা বসেছিল। মোড়ল নির্দেশ দেন দু’জনকে বেঁধে তাঁদের মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার। ন্যাড়া করে দু’জনের ভিডিয়োও করা হয়েছিল। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার এক জনকে আটক করা হয়েছে বলে মহকুমা পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

মাত্র দুই আগে পরকীয়ার ‘শাস্তি’ হিসাবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রাস্তায় যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিলেন কয়েক জন। সে বারও ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ইসলামপুরে ছুটে এসেছিলেন রাজ্যপাস সিভি আনন্দ বোস। কিছু দিনের মধ্যে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে অস্বস্তিতে জেলা প্রশাসন থেকে শাসকদল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক বিবাহিত মহিলা গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁরা পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের কয়েক জন তাঁদের পাকড়াও গ্রামে নিয়ে আসেন। বসে সালিশি সভা। সেখানেই ওই শাস্তি দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভিডিয়োর সূত্র ধরে খোঁজখবর করা হয়েছিল সঙ্গে সঙ্গে। পরে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত এবং নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বয়ান শোনা হয়েছে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ নাফিজ আলম ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আদিবাসী সমাজের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেক গ্রামেই এ রকম সালিশি সভা করে বিভিন্ন সমস্যা বা অশান্তি মেটানো কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সেখানে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না। নির্যাতিতেরাও আগে থেকে কোনও অভিযোগ করেননি। আমরা যদি আগে থেকে জানতে পারতাম, তখন এমনটা ঘটতে দিতাম না। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। দেশের আইন মেনে চলতে হবে সকলকে।’’ ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেনড্রুপ শেরপা জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নির্যাতিত দু’জনের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত সমস্ত দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement