গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্যহীন অবস্থায় তাদের কোনও অনুমতি ছাড়া কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা বেআইনি বলে বারবার জানিয়ে আসছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ শিক্ষা দফতর শুধুমাত্র শিক্ষকদের ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম (ক্যাস) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে (ইসি) আলোচনার অনুমতি দিয়েছিল। মঙ্গলবার বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাজ্যের নির্দেশ মতোই কর্মসমিতির বৈঠক হয়েছে। সে বৈঠকে একাধিক গঠনমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে গৌড়বঙ্গের উপাচার্য ক্যাস নিয়ে আলোচনার জন্য ইসি ডাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাকে সেই বিষয়ে শুধু আলোচনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বৈঠকের পূর্ব নির্ধারিত অ্যাজেন্ডায় বেশ কিছু বিষয় থাকলেও ‘ক্যাস’ নিয়ে আলোচনার উল্লেখই নেই। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে ক্যাস-সহ ১৪টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দশ সদস্যের উপস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, বাস্তুকার, নিরাপত্তা আধিকারিকদের পুনরায় পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। হস্টেল চালু, জাতীয় শিক্ষানীতি, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবর্তীর ছুটি সংক্রান্ত ব্যাপারেও এই বৈঠকে আলোচনা হয়। অপূর্ব দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে। সূত্রের খবর, অপূর্ব হৃদযন্ত্রের চিকিৎসার জন্য ছুটির আবেদন করে ভিন্ রাজ্যে গিয়েছিলেন। কিছু দিন আগে কলেজসমূহের পরিদর্শকের নামে বরাদ্দ গাড়ি কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সরব হন অপূর্ব। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, খরচ কমাতে গাড়ি কমানো হয়েছে। শুধু উপাচার্য গাড়ি ব্যবহার করেন। অপূর্বের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
শুধুমাত্র শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয় (ক্যাস) নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতর আলোচনার নির্দেশ দিলেও অন্য বিষয় নিয়ে কেন আলোচনা হল? বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “রাজ্যের নির্দেশ মতো ইসি বৈঠকে একাধিক গঠনমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”