Fire

হাসপাতালে রোগীকে পোড়ানোর ‘চেষ্টা’

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে ঢুকে ‘হামলা’ চালানোর কিছু ক্ষণ আগে, রামপ্রসাদ পুলিশের কাছে সুরজিতের বিরুদ্ধে তাঁকে ও প্রকাশকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন।

Advertisement
গৌর আচার্য 
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৩২

— প্রতীকী চিত্র।

চিকিৎসাধীন এক ব্যবসায়ী এবং তাঁর সঙ্গী দুই আত্মীয়ার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানোর ‘চেষ্টা’ হল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের ছ’তলার পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড সংলগ্ন করিডরে ওই ‘হামলার’ পরে, কোনও মতে ওয়ার্ডের ভিতরে পালিয়ে বাঁচেন তিন জন। আর জি কর-কাণ্ডের পরে রাজ্যের নানা প্রান্তের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা-পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার জেরে মেডিক্যালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা নতুন করে নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে শুরু করেছেন।” তবে অভিযুক্ত দুই গাড়িচালককে ওই রাতেই ধরেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, টাকা লেনদেন নিয়ে গোলমালের জেরে মারপিটে মাথা ফেটেছিল রায়গঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দাস নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীর। সুরজিতের অভিযোগ, কাঠ বিক্রি বাবদ তিনি একই থানা এলাকার বাসিন্দা গাড়িচালক প্রকাশ মির্ধার কাছে দু’বছর ধরে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পান। বৃহস্পতিবার সে টাকা চাইলে প্রকাশ ও তাঁর সঙ্গী আর এক গাড়িচালক রামপ্রসাদ দাস তাঁকে মারধর করেন। মাথায় ইট দিয়ে মারা হয়। সুরজিৎ বলেন, ‘‘মেডিক্যালে আমার মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়। লিফটে ছ’তলায় উঠে ওয়ার্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই প্রকাশ, রামপ্রসাদ আমার, আমার স্ত্রীর এবং শাশুড়ির গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয়। দেশলাই বার করে আগুন ধরানোরও চেষ্টা করে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে ঢুকে ‘হামলা’ চালানোর কিছু ক্ষণ আগে, রামপ্রসাদ পুলিশের কাছে সুরজিতের বিরুদ্ধে তাঁকে ও প্রকাশকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন। রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘‘ধৃতেরা রোগী সেজে জ্যাকেটের ভিতরে পেট্রলের বোতল লুকিয়ে হাসপাতালে ঢুকেছিল। পুলিশ মেডিক্যালের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে।’’ শুক্রবার আদালত ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠায়। তবে আদালত চত্বরে ধৃতেরা দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

আর জি কর কাণ্ডের পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের দু’টি প্রবেশপথের নিরাপত্তায় সব সময়ের জন্য এক জন অ্যাসিন্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর, দুই কনস্টেবল মোতায়েন থাকেন। ‘ভিজ়িটিং আওয়ার্স’-এর বাইরে কেউ হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে, তাদের প্রশ্ন করা, প্রয়োজনে, বাধা দেন তাঁরা। এর বাইরে ওই দুই প্রবেশপথে থাকেন হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মী। তার পরেও এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন ডাক্তার-নার্সদের একাংশ। তবে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ভাস্কর দেবনাথ বলেন, ‘‘নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশের নজরদারি ছিল বলে ঘটনার পরেই অভিযুক্তেরা ধরা পড়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন