Siliguri Murder

কোর্টের কাছে শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন, এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর জখম স্ত্রীও, শিলিগুড়িতে ধৃত যুবক

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা রূপসানা খাতুন শিলিগুড়ির পরেশনগরের বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে সাখিন খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩১

—প্রতীকী ছবি।

রাস্তায় প্রকাশ্যে শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করলেন জামাই। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর জখম হলেন স্ত্রীও। শুক্রবার শিলিগুড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুল‌িশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা রূপসানা খাতুন শিলিগুড়ির পরেশনগরের বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে সাখিন খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাখিনার স্বামী মহম্মদক সাহিদকে। তিনি ভানুনগরের বাসিন্দা। পেশায় একটি পানীয় কারখানার শ্রমিক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে সাখিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাহিদের। বিয়ে পর থেকেই পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। কয়েক বছর পরেই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন সাখিনা। এতে অশান্তি আরও চরমে ওঠে। এর পর শুক্রবার মেয়েকে শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের কাছে কাজে ছাড়তে যান রূপসানা। পিছু নিয়ে সাহিদও সেখানে পৌঁছন। রাস্তায় তাঁদের মধ্যে তীব্র বাতানুবাদ শুরু হয়। এর পর আচমকাই ব্যাগ থেকে ছুরি বার করে প্রথমে শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি কোপান সাহিদ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রূপসানা। মাকে বাঁচাতে গেলে সাখিনাকেও একই ভাবে কোপান স্বামী। পথচলতি মানু‌ষেরা আটকাতে গেলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সাহিদ পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশের সহযোগিতায় ধরা পড়ে যান তিনি। এর পর সাখিনা ও রূপসানাকে উদ্ধার করে স্থানীয়েরাই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রূপসানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাখিনা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক টোটো চালক সন্তু দাস বলেন, ‘‘আমি সেখানেই ছিলাম। তিন জনের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। আচমকা লোকটা চাকু বার করে দু’জনকে কোপাতে শুরু করে। এ রপর আমরা কোনও মতে তাকে আটকাই। দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক জন মৃত বলে জানান চিকিৎসক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement