Calcutta High Court

এক দিনে অনুপস্থিত ১২ শিক্ষক! আদালতের পথে আচমকা স্কুলে গিয়ে স্তম্ভিত হাই কোর্টের বিচারপতি বসু

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার সময় বিচারপতি বসু দেখেন, ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনের নর্দমায় মিড ডে মিলের ভাত ছড়ানো।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৩
স্কুল পরিদর্শনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

স্কুল পরিদর্শনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের বাইরের নর্দমায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মিড ডে মিলের ভাত! আদালতে যাওয়ার সময় এই দৃশ্য দেখে গাড়ি থামিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা স্কুলের ভিতরে ঢুকে যান। গিয়ে জানতে পারেন, এক দিনে ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত! এমন পরিস্থিতি দেখে স্তম্ভিত হয়ে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার সময় বিচারপতি বসু দেখেন, ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনের নর্দমায় মিড ডে মিলের ভাত ছড়ানো। জেলার অন্যতম প্রাচীন স্কুলের এই অবস্থা দেখে গাড়ি থামিয়ে সটান ভিতরে চলে যান বিচারপতি। স্কুলে ঢুকে বিষয়টি জানতে চান। কিছু ক্ষণ পরেই চলে যান স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘরে। সেখানে শিক্ষকদের রেজিস্টার বুক দেখতে চান বিচারপতি বসু। তাতে দেখেন, স্কুলের ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জন স্কুলে আসেননি! এক দিনে কেন এত জন শিক্ষক অনুপস্থিত, সে ব্যাপারে জানাতে বলে সাত দিনের মধ্যে সার্কিট বেঞ্চে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেছেন বিচারপতি। পরে স্কুল থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘রোজ এই স্কুলের সামনে দিয়ে যাতায়াত করি। আজ স্কুলের অবস্থা দেখতেই আসা। দেখি, অনেক শিক্ষক নেই! আগে সারপ্রাইজ ভিজিট হত স্কুলগুলোতে। এখন কি হয়?’’

এ প্রসঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, ‘‘সারপ্রাইজ ভিজিট ছিল। তিনি জেলার যে কোনও স্কুলে যে কোনও দিন এমন পরিদর্শন করতে যেতে পারেন। যাঁরা আজ স্কুলে অনুপস্থিত, তাঁদের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement