—নিজস্ব চিত্র।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানো নিয়ে তৃণমূলের প্রচারগাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ির ঘটনা। প্রতিবাদে দিনহাটা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছেন বলে অনেক দিন ধরেই সরব তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া টাকা রাজ্য সরকারই ফেরত দেবে। মাইকে তারই প্রচার চালাচ্ছিল শাসকদল। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির দুষ্কৃতীরা ভেটাগুড়ি এলাকায় তৃণমূলের প্রচারগাড়িতে হামলা চালিয়ে মাইক ভেঙে দিয়েছে। মারধর করেছে গাড়ির চালককেও। তার প্রতিবাদে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের নেতৃত্বে ভেটাগরিতে দিনহাটা কোচবিহার রোড অবরোধ করা হয়। উদয়ন বলেন, ‘‘চূড়ান্ত নোংরামি করছে বিজেপি। সাধারণ মানুষের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার বকেয়া মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে মাইকে প্রচার করছে। সেই সব ক্যাম্পে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। এক দিকে কেন্দ্রীয় সরকার ষড়যন্ত্র করছে, অন্য দিকে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এ সমস্ত বিষয় আর মুখ বুজে সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই। বিজেপি যদি এখনই সাবধান না হয়, তা হলে তাদের এর ফল ভোগ করতে হবে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ১০০ দিনের টাকা দিবে ভাল কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে সেই তালিকা তৈরি হচ্ছে। তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে মাইকে প্রচার হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে হেতু সরকারি টাকা, তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এখনই কিছু হয়নি। যখন সাধারণ মানুষ দেখবে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে নেতাদের বাড়ির লোকেদের চার-পাঁচজনের জব কার্ডের লিস্ট তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে, সেই সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হবে।’’